প্রশিক্ষণে গেল পুলিশ কুকুর

গুয়াহাটিগামী ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এনজেপি স্টেশন দিয়ে। আরপিএফের বিভাগীয় তদন্তে জানা যায় সেই ট্রেনে তল্লাশিও হলেও বিস্ফোরকের হদিশ মেলেনি। কেন হদিশ মেলেনি বিস্ফোরকের তার খোঁজ পেতে, শুরু হয় আরেক তদন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ০৩:০৮
Share:

গুয়াহাটিগামী ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এনজেপি স্টেশন দিয়ে। আরপিএফের বিভাগীয় তদন্তে জানা যায় সেই ট্রেনে তল্লাশিও হলেও বিস্ফোরকের হদিশ মেলেনি। কেন হদিশ মেলেনি বিস্ফোরকের তার খোঁজ পেতে, শুরু হয় আরেক তদন্ত। জানা যায় মিথাইলের যৌগ মেশানো সেই বিস্ফোরক চিহ্নিত করার তালিম-ই ছিল না এনজেপি (নিউ জলপাইগুড়ি) স্টেশনে আরপিএফের ডগ ক্যানালের দুই কুকুরের। ঘটনাটি বছরখানেকের পুরোনো হলেও, তারপরে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। সম্প্রতি আরপিএফের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে দুষ্কৃতীদের হাতে নিত্য নতুন বিস্ফোরক মজুতের রিপোর্ট পেয়ে নড়েচরে বসেছেন শীর্ষ অফিসাররা। তাঁদের নির্দেশে এনজেপির দুই কুকুরকে বিএসফের কাছে প্রশিক্ষণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এনজেপির ডগ ক্যানাল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন আরপিএফের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগের প্রধান নিরাপত্তা কমিশনার মহম্মদ শাকিব। পরিকাঠামো পরিদর্শনের পরে কুকুরদু’টির দক্ষতাও যাচাই করতে মহড়াও নেন তিনি। বিস্ফোরক লুকিয়ে কুকুর দিয়ে তল্লাশি করানো হয়। প্রশক্ষিত কুকুর বিস্ফোরক খুঁজে দিলেও, তা যথাযথ নয় বলে মনে করছেন কমিশনার নিজেই। মহম্মদ শাকিব বলেন, ‘‘প্রতিদিনই নিত্য নতুন বিস্ফোরকের কথা জানা যাচ্ছে। এখ যে দু’টি কুকুর রয়েছে ওদের নতুন বিস্ফোরক চেনাতে হবে। সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

আরডিএক্সের গুড়ো, বারুদ, পটাশিয়ামের যৌগ এবং হাত গ্রেনেড দিয়েই এখন আরপিএফের দুই কুকুরের মহড়া হয়। আরপিএফের দাবি, এই ধরণের বিস্ফোরখ খুঁজে পেতে বন্ড এবং ডন এই দুই নামের কুকুর দু’টি যথেষ্ট দক্ষ। যদিও, নাশকতাকারীদের হাতে মিথাইল, মিথেনের নানা যৌগের রাসায়ণিক মিশ্রণে যে বিস্ফোরক রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। তেমন বিস্ফোরক ভর্তি বাক্সে গন্ধ শুকলেও ডন বা বন্ড-রা কিছুই টের পাবে না বলে আরপিএফ সূত্রের দাবি। এনজেপির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে তল্লাশির দায়িত্বে থাকা দুই কুকরের আধুনিক প্রশিক্ষণ না থাকা বড়সর গাফিলতি বলে দাবি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। সে কারণেই দুই কুকুরকে পর্যায়ক্রমে বিএসএফের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলির মধ্যে বিএসএফের ডগ স্কোয়াডকেই শ্রেষ্ঠ বলে ধরা হয়। তাই বিএসএফের কাছে পর্যায়ক্রমে পাঠ নিতে যাবে ডন এবং বন্ড।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন