পুজোর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে যানজট রোধে টোটো রিকশা নিয়ন্ত্রণে নামছে পুরসভা ও জেলা পুলিশ। মাত্র ২৫টি ওয়ার্ডের শহরে ৬০০-র উপর টোটো চলায় বাসিন্দারা পথেঘাটে চলতে সমস্যায় পড়ছেন। নিত্য দুর্ঘটনাও ঘটছে। তার উপর গ্রামীণ এলাকার টোটোর দাপটও শহরে বেড়ে গিয়েছে। পুজোর জামাকাপড় কেনাকাটা শুরু হয়ে যাওয়ায় শহরের বিশ্বাসপাড়া থেকে সাধনামোড় হয়ে ডানলপ মোড় এবং নিউমার্কেট এলাকায় বড় বস্ত্র বিপণির দোকানগুলিতে ক্রেতাদের লাইন পড়ে গিয়েছে। দুপুর থেকেই টোটোর ভিড়ে ওই এলাকায় শুরু হচ্ছে ব্যাপক যানজট।
পুরসভর চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, ‘‘নতুন করে টোটোর অনুমতি দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করে টোটো নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে।’’
পুজোর আগে টোটোর দাপট কমাতে গ্রাম এবং শহরের টোটোগুলিকে চিহ্নিতকরণ করা হবে বলে এ দিন জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম এলাকার টোটো চালকেরা শহরে ঢুকে পড়ায় নতুন করে যানজট সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ বার থেকে গ্রামের টোটোর রুট বেধেঁ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামীণ এলাকার টোটো সবুজ এবং শহরের টোটো নীল রঙ করে চিহ্নিত করা হবে। রুজির প্রশ্নে কোনও টোটো চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না।’’ তবে সকলকে নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে বালুরঘাট শহরে বেশ কিছু রাস্তা টোটোর জন্য ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার উপরেও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিন্তু যানজট কিছুতেই কমছে না।
ফলে দু’টি আলাদা রঙে টোটো চিহ্নিত করে গ্রাম ও শহরের রাস্তা ভাগ করে টোটোর দাপট রোধ করতে ওই যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে পুর ও জেলা প্রশাসন।