পুণ্যার্থীর বেশে জল্পেশে পুলিশও

পাহাড় অশান্ত থাকায় গত দু’বছর ভিড় কিছুটা কম হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ভিড় অনেকটাই বাড়বে বলে তাঁদের অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:০০
Share:

প্রস্তুতি: মেলার আগে জল্পেশে হচ্ছে দোকান। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

গায়ে গেরুয়া ফতুয়া, গেরুয়া ধুতি। মাথায় বাঁধা গেরুয়া ফেট্টি। দেখে মনে হবে সাধারণ পুণ্যার্থী। কিন্তু আসলে ওই পোষাকের আড়ালে রয়েছে পুলিশের দুঁদে অফিসারেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে ময়নাগুড়িতে জল্পেশ মন্দিরের নিরাপত্তায় হতে পারে এমনই ব্যবস্থা।

Advertisement

জল্পেশের মেলায় নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না জেলা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে মোট ৪০টি সিসি ক্যামেরা মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে নজরদারি চালাবে। পুলিশ ছাড়াও র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা জানান, সোমবার সকাল সকাল জল ঢালার তাগিদে রবিবার রাত থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করতে শুরু করবেন পুণ্যার্থীরা। পাহাড় অশান্ত থাকায় গত দু’বছর ভিড় কিছুটা কম হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ভিড় অনেকটাই বাড়বে বলে তাঁদের অনুমান। মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্ধ্যায় জল্পেশে আসেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বারের মত এ বারও নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক থাকবে না। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণেও পুলিশ বিশেষ ভূমিকা নেবে।’’

প্রতিবার জল্পেশের শ্রাবণী মেলাকে ঘিরে জাতীয় সড়কে ও তিস্তা সেতুতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ভিড়ে যান চলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। জেলা পুলিশের দাবি, এ বছর ওই যানজট রুখতে অন্য পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। এ বার মেলা চলাকালীন পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকেও রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যাবে। তিস্তা সেতু থেকে ইন্দিরা মোড় ও ইন্দিরা মোড় থেকে জল্পেশ মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ও সার্ক রোডে মোতায়েন থাকবে র‌্যাফ ও পুলিশ। জলপাইগুড়ির ডিএসপি (ট্রাফিক) দিবাকর দাসের উপর ওই যানজট নিয়ন্ত্রণের ভার থাকছে। হাইওয়ে ট্রাফিকও নিয়মিত টহলদারি চালাবে। ময়নাগুড়ির ট্রাফিক ওসি ফজলুল হক বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই জাতীয় সড়কে যানজট সৃষ্টি করতে দেবে না পুলিশ। সেই কারণে এ বার তিস্তায় জল নিতে আসা পুণ্যার্থীদের গাড়ি পার্কিং করতে হবে উল্লাডাবরিতে।’’

Advertisement

জল্পেশ মন্দিরের চারপাশের মেঝে সিমেন্ট দিয়ে পাকা করা। শনিবার মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীরা অভিযোগ করেছেন, রোদের তেজে মন্দির চত্বরে পা ফেলা যাচ্ছে না। তাঁদের দাবি, মন্দির কর্তৃপক্ষ ভেজা কাপড় বা চট ওই মেঝেতে বিছিয়ে দিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন