ক্রেতা সেজে কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার, ধৃত তিন

জাল নোট, মাদক উদ্ধারের ঘটনা আগে ঘটেছে জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বার প্রথম উদ্ধার হল সাপের বিষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৮
Share:

বোতলে সাপের বিষ। নিজস্ব চিত্র

ক্রেতা সেজে প্রায় এক কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন কারবারিকে। শুক্রবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের এক হোটেলে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

জাল নোট, মাদক উদ্ধারের ঘটনা আগে ঘটেছে জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বার প্রথম উদ্ধার হল সাপের বিষ। তবে বছর তিনেক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে মালদহগামী একটি বাস থেকে সাপের বিষ উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। জেলায় সাপের বিষ উদ্ধারে চিন্তিত পুলিশকর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় রফিক আলি ওরফে টফু, আসিক মণ্ডল এবং মাসুদ শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রফিক ও মাসুদ কালিয়াচক থানার সাহাবাজপুরের বামুনটোলা গ্রামের বাসিন্দা। আসিকের বাড়ি কালিয়াচকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাস্টারপাড়া গ্রামে। ধৃতদের কাছ খেকে ‘বুলেটপ্রুফ’ কাচের বোতলে প্রায় এক কিলোগ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, তার বাজারদর প্রায় ১ কোটি টাকা। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা ক্রেতা সেজে সাপের বিষ কিনতে যান। বিষ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। কোথা থেকে ওই বিষ নিয়ে আসা হয়েছিল, তা দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

পুলিশ জানায়, ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ায় মালদহ টাউন স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে খোঁজ মেলে তিন পাচারকারীর। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক ধরে ক্রেতা সেজে ফোনে ওই তিন জনের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। তার পরেই ইংরেজবাজারের ওই হোটেলে ঘর ভাড়া করে কালিয়াচকের ওই তিন কারবারী। শুক্রবার রাতে হোটেলের ওই ঘরে গিয়ে ক্রেতার ছদ্মবেশে থাকা তদন্তকারীরা তাঁদের কাছে থাকা ব্যাগ-বোঝাই টাকা দেখান। তার পরেই সাপের বিষ ভর্তি বোতল বের করে পুলিশের হাতে দেন কারবারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জনকে ধরতে গেলে হোটেলের তিনতলার ছাদ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন মাসুদ। পুলিশ তাড়া করে তাঁকে ধরে ফেলে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অনেকটা সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই টোপ ফেলে তিন কারবারীকে গ্রেফতার করা হল।’’

শনিবার ধৃত তিন জনকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সাপের বিষ সীমান্ত পেরিয়ে জেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষ-বোঝাই বোতলটি বুলেটপ্রুফ। ওই ঘটনার পিছনে একটি চক্র জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিশ দাবি, ওই বিষ মাদক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। অলোক বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণ আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন