পুরাতন মালদহে রুট মার্চে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) আজহারুদ্দিন খানের। নিজস্ব চিত্র
কোথাও দু’জন, কোথাও আবার এক আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিন-চার জন। এমনই সংখ্যায় মনোনয়ন জমা পড়েছে মালদহের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক আসনে। সোমবার, বাড়তি মনোনয়ন প্রত্যাহারেই ব্যস্ত থাকলেন ডান-বাম শিবিরের নেতা, নেত্রীরা। কোনও শিবিরে চলেছে আলোচনা, তো কোনও শিবিরে বিক্ষুব্ধদের দেওয়া হচ্ছে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি।
যদিও এ দিন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের হিড়িক জেলায় নেই, দাবি প্রশাসনের। সূত্রের দাবি, আজ, ২০ জুন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ব্লক ও জেলা প্রশাসনিক ভবনে ভিড় জমবে। জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনে ৩১০, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৬টি আসনে ২১৮৮ এবং পঞ্চায়েতের ৩,১৮৬টি আসনে ১২,৭৬৪টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। এ বারে বাড়তি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ার কারণ কী? রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই এ বারে ঘটা করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। প্রার্থী নিয়ে ‘ধন্দ’ তৈরি হয়। তা থেকেই এ বারে ঢালাও মনোনয়ন জমা পড়েছে।
বাড়তি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার নিয়ে চিন্তায় ডান-বাম শিবির। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিক্ষুব্ধদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। তার পরেও, বিক্ষুব্ধরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে, দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তিনি বলেন, “একটি আসনে দলের টিকিটে এক জনই ভোটে লড়াই করবেন। বাকি সবাইকে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। দলের প্রতীক যাঁরা পাবেন না, তাঁরা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা না হলে, দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাড়তি মনোনয়নে পিছিয়ে নেই বিজেপি, বাম, কংগ্রেসও। বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “কৌশলগত কারণে বাড়তি মনোনয়ন জমা পড়েছে। আলোচনা করে বাড়তি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হবে।” মনোনয়ন বেশি পড়া নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “দলের অন্দরে আলোচনা করে বাড়তি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।”