জন সংযোগের হাতিয়ার মেলাও

ভোটের মুখে শিবরাত্রির মেলাকে হাতিয়ার করে কোচবিহারের বাণেশ্বরে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৯
Share:

ভোটের মুখে শিবরাত্রির মেলাকে হাতিয়ার করে কোচবিহারের বাণেশ্বরে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

সোমবার বাণেশ্বরের প্রাচীন শিবমন্দির লাগোয়া এলাকায় ওই মেলা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ওই মেলা চলবে।

পাশাপাশি ভোর থেকেই ওই শিবমন্দিরে পুজো দিতে উৎসাহীদের ঢল নামে। দিনভর শিবদিঘি চত্বরে বিশাল এলাকা জুড়ে ছিল বাসিন্দাদের লম্বা লাইন। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের লাইনও ছিল নজরকাড়া।

Advertisement

এ দিন সকালে ওই মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন রাজ্যের বিদায়ী বনমন্ত্রী তথা মাথাভাঙা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পরিমল বর্মন। বাসিন্দাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ও করেন তাঁরা। পরে বাণেশ্বরে দলীয় অফিসে একটি কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন বিনয়বাবু। তিনি বলেন, “বাণেশ্বর শিবমন্দিরে পুজো দিয়েছি। অনেকের সঙ্গে দেখা হল। এখানকার প্রার্থী আমার ভ্রাতৃতুল্য পরিমলও সঙ্গে ছিল।” কী চাইলেন পুজো দিয়ে? বিনয়কৃষ্ণবাবুর বক্তব্য, ‘‘বাংলার উন্নয়ন, এলাকার শান্তি।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন ‘‘মানুষ তৃণমূলকে জেতাবে। সামগ্রিক উন্নয়নের নিরিখেই আমরা জিতব।’’

কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তথা তৃণমূলের কোচবিহার ২ ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “দাদার সঙ্গেই (বনমন্ত্রী) পুজো দিয়েছি। অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। দলের তরফে মেলা চত্বরে এ দিন থেকেই ক্যাম্প করে স্বেচ্ছাসেবীরা বাসিন্দাদের সহায়তার কাজে নামবেন। পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা হবে। এবার ভোটের জন্য নয়, দলের কর্মীরা প্রতিবার তা করেন।”

এ দিন মন্দিরে গিয়ে পুজো না দিলেও বাণেশ্বরের শিবরাত্রির মেলাকে কেন্দ্র করে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপরতার কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস নেতৃত্বের কথাতেও। সিপিএমের বাণেশ্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রতিমা সরকার বলেন, “নির্বাচনের জন্য নয়, মেলা চত্বরে দর্শনার্থীদের সহায়তায় প্রতিবারের মতো এ বারেও ক্যাম্প করা হবে। বিকেল ৫টা থেকে রাত পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে। ভিড়ের চাপে কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে কর্মীরা তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “সোমবার জল ঢালতেই ভিড় ছিল। মেলা জমবে মঙ্গলবার থেকে। তাই ওই দিন থেকেই আমরা অন্য বারের মতো ক্যাম্প চালুর চিন্তাভাবনা করেছি।” কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরীও বলেন, “স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উদ্যোগে ক্যাম্প হবে। আগেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

বাণেশ্বরের পাশাপাশি জেলার অন্য এলাকাতেও শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী ছিলেন প্রার্থীদের অনেকে।

নাটাবাড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ধলুয়াবাড়ি ও কোচবিহার বাঁধের পাড় এলাকায় যান। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “পুজো দেখতে গিয়েছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন