হাসপাতালের বেহাল পরিকাঠামো ব্যবস্থা

১০ তলার রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নীচ তলায় জরুরি বিভাগ, দো’তলায় বিভিন্ন বহির্বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও তিনতলায় পুরুষদের মেডিসিন ওয়ার্ড, চারতলায় মহিলাদের মেডিসিন ওয়ার্ড, ছয়’তলায় পুরুষজের জন্য সার্জিক্যাল ওয়ার্ড এবং সাততলায় মহিলাদের সার্জিক্যাল এবং প্রসূতি ওয়ার্ড রয়েছে। হাসপাতালের নীচতলায় জরুরি বিভাগের পাশে রোগীদের পরিবারের লোকেদের পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৮টি ট্যাপকল ও ১০টি শৌচাগার রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

বেহাল: ভেঙে গিয়েছে রোগীদের পরিবারের পানীয় জল সরবরাহের ট্যাপকল। নিজস্ব চিত্র

কোথাও পানীয় জল সরবরাহের ট্যাপকল ভেঙে গিয়েছে, আবার কোথাও একাধিক ট্যাপকল থাকলেও সেগুলো বিকল হয়ে রয়েছে। সাফাইয়ের অভাবে বেশিরভাগ শৌচাগার থেকে দিনভর দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। বেশকিছু শৌচাগার বেহাল হয়ে পড়ায় সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিকাশি পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়ায় বেশিরভাগ শৌচাগারের মেঝেতে নোংরা জল জমে রয়েছে! কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের পানীয় জল সরবরাহ ও শৌচাগারের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রতিদিনই রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা দুর্ভোগে পড়ছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

১০ তলার রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নীচ তলায় জরুরি বিভাগ, দো’তলায় বিভিন্ন বহির্বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও তিনতলায় পুরুষদের মেডিসিন ওয়ার্ড, চারতলায় মহিলাদের মেডিসিন ওয়ার্ড, ছয়’তলায় পুরুষজের জন্য সার্জিক্যাল ওয়ার্ড এবং সাততলায় মহিলাদের সার্জিক্যাল এবং প্রসূতি ওয়ার্ড রয়েছে। হাসপাতালের নীচতলায় জরুরি বিভাগের পাশে রোগীদের পরিবারের লোকেদের পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৮টি ট্যাপকল ও ১০টি শৌচাগার রয়েছে। পাশাপাশি, পুরুষ এবং মহিলাদের মেডিসিন ও সার্জিক্যাল ওয়ার্ড এবং প্রসূতি ওয়ার্ডে রোগীদের জন্য ১০টি করে শৌচাগার ছাড়াও পানীয় জলের জন্য পাঁচটি করে ট্যাপকল রয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন আগে জরুরি বিভাগের পাশে রোগীদের পরিবারের লোকেদের পানীয় জল সরবরাহের চারটি ট্যাপকল ভেঙে গিয়েছে। বাকি ট্যাপকলগুলি দিয়ে বেশিরভাগ সময়ে জল বার হয় না। রোগীদের পরিবারের লোকেদের জন্য তৈরি করা বেশিরভাগ শৌচাগার বেহাল হয়ে পড়া র কারণে সেগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে! পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন-সার্জিক্যাল বিভাগ এবং প্রসূতি ওয়ার্ডে বেশিরভাগ শৌচাগার নিয়মিত সাফাই হয় না। ফলে দিনভর সেইসব শৌচাগার থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধে বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিকিত্সাধীন রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে একাধিক শৌচাগারের প্যান ভেঙে যাওয়ার কারণে সেইসব শৌচাগারও দীর্ঘদিন আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগীদের পানীয় জল সরবরাহের একাধিক ট্যাপকলও বিকল হয়ে রয়েছে।

পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের বেশিরভাগ শৌচাগারে নিকাশি পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে শৌচাগারের মেঝেতে জমে থাকা নোংরা জলের উপর দিয়ে গিয়েই রোগীরা শৌচকর্ম করতে বাধ্য হন!

Advertisement

রায়গঞ্জের পানিশালা এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি অনন্ত সরকার ও সুভাষগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা পায়েল দেববর্মনের দাবি, গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে তাঁদের দুই আত্মীয় অসুস্থ হয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন! তাঁদের বক্তব্য, জরুরি বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল ও শৌচাগারের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে থাকার জেরে রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা দুর্ভোগে পড়েছেন! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে! ফলে বহু কোটি টাকা খরচ করে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হলেও রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের দুর্ভোগ কাটেনি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন