অন্তঃসত্ত্বার গায়ে আগুন

বিয়ের আগে একবার একটি ছেলে উত্ত্যক্ত করত। সে সমস্যা পরে মিটে যায়। ছেলেটি শাস্তিও পেয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরে সে কথা তুলেই শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের মুখে পড়তে হত বছর কুড়ির এক তরুণীকে।

Advertisement

শিলিগুড়ি

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০১:৪০
Share:

বিয়ের আগে একবার একটি ছেলে উত্ত্যক্ত করত। সে সমস্যা পরে মিটে যায়। ছেলেটি শাস্তিও পেয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরে সে কথা তুলেই শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের মুখে পড়তে হত বছর কুড়ির এক তরুণীকে। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শনিবার রাতে তার গায়ে আগুন ধরে। রেশমি শাসনার নামে ওই বধূর বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। রেশমির স্বামী সঞ্জয়ের পাল্টা দাবি, ওই রাতে মোবাইল নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়, তারপরেই রেশমি দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

Advertisement

শিলিগুড়ির বীরপাড়া থানার সারদাপল্লি এলাকায় রেশমির শ্বশুরবাড়ি। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রেশমির শরীরের ৯৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত অবশ্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে মৌখিক ভাবে পুলিশ জানে। বিকালে মাটিগাড়া থানার পুলিশ অফিসারেরা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বধূর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। জয়গাঁর এসডিপিও পার্থসারথি মজুমদার বলেন, ‘‘সমস্ত খবর রাখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

রেশমির বাবা গোপাল শাসনারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার চলত। ইভটিজিংয়ের ঘটনাটির কথা তুলে বিয়ের পর থেকে ওঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমিকে আজেবাজে কথা বলত। তাঁর মেয়ে সে কথা বলেছে। গোপাল বলেন, ‘‘মেয়েকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল বলেই আমাদের আশঙ্কা।’’ রেশমির দাদা সুদীপ জানান, রাতে তাঁদের জানানো হয় রেশমি গায়ে আগুন দিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে যান তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘বোনকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বীরপাড়া থানায় সব মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। বোনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করব। দোষীদের ছাড়ব না।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ৮ মাস আগে ফালাকাটার মশলাপট্টির বাসিন্দা, পেশায় সোনার কারিগর গোপালবাবুর মেয়ে রেশমির সঙ্গে বীরপাড়ার সারদাপল্লির সঞ্জয় শাহের সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। সঞ্জয়ের ওই এলাকাতেই দশকর্মা ভাণ্ডার রয়েছে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘মোবাইল নিয়ে রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা বন্ধ করে রেশমি গায়ে আগুন দেয়। আমরা দোষ করলে তো পালিয়ে যেতে পারতাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন