পদ ছাড়তে বলে চাপ মোর্চাকে

দলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘মোর্চা নেতারা দাবি করছেন রাজ্যের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ। কিন্তু সেই দলের বিধায়করা এখনও পদ ছাড়েননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩২
Share:

এখনও পর্যন্ত জিটিএ থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোথাও থেকে মোর্চা নেতারা ইস্তফা দেননি।

জিটিএ থেকে ইস্তফা দিয়েছে মোর্চা। কিন্তু কেন আঁকড়ে বিধায়ক বা কাউন্সিলর পদ? সেই প্রশ্ন তুলে এ বার মোর্চার অস্বস্তি আরও বাড়ালো তৃণমূল।

Advertisement

দলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘মোর্চা নেতারা দাবি করছেন রাজ্যের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ। কিন্তু সেই দলের বিধায়করা এখনও পদ ছাড়েননি। আসলে এদের ক্ষমতার মোহ। অন্য দলগুলিকে বলছি মোর্চা নেতাদের আসল লক্ষ্য বুঝে নিন। শান্তি এবং উন্নয়নের পথে আসুন।’’

পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ প্রস্তুতির সময় থেকেই জিএনএলএফ, গোর্খা রাজ্য নব নির্মাণ মোর্চা, গোর্খা লিগের মতো দলগুলি শর্ত দিয়েছিল মোর্চা নেতাদের সব সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত জিটিএ থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোথাও থেকে মোর্চা নেতারা ইস্তফা দেননি। পাহাড়ের তিন বিধানসভায় মোর্চার বিধায়ক রয়েছেন। দার্জিলিং কালিম্পং, কার্শিয়াং পুরসভা মোর্চা দখলে। তৃণমূলের দখলে থাকা মিরিক পুরসভাতেও মোর্চার ৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। বস্তুত মোর্চাকে আক্রমণ এবং অন্য দলগুলিকে বার্তা দিতেই এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজেন মুখিয়া এবং তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা।

Advertisement

একই সঙ্গে পাহাড়ে তৃণমূলের সংগঠন যে এখনও সক্রিয় সে বার্তাও দিতে চেয়েছেন তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার হামলা-হুমকির মুখে পাহাড়ের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই শিলিগুড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে দল বদলে মোর্চায় যোগ দিয়েছেন। সে কথা স্বীকার করে বিন্নি শর্মা বলেন, ‘‘প্রাণের ভয় দেখিয়ে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের দলে টেনেছে মোর্চা। ওরা আসলে গোর্খাল্যান্ডের নামে তৃণমূলকে শেষ করতে চাইছে। কিন্তু পাহাড়ে যতদিন মানুষ, থাকবে ততদিন তৃণমূল থাকবে।’’

গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরিক পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এম কে জিম্বার বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। জখম হয়েছেন তিনি। রংলি রংলিওটের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সুব্বার বাড়িতেও আগুন লাগানো হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ১১ জন তৃণমূল নেতার বাড়ি পোড়ানো হয়েছে, ১২ জনের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। সে প্রসঙ্গ তুলে বিন্নি শর্মার মোর্চাকে কটাক্ষ, ‘‘একজন গোর্খা হয়ে আরেক গোর্খা ভাইয়ের বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে আগুন দিলেই যদি গোর্খাল্যান্ড হয় তবে আমাদের সবার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিন!’’

পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে মোর্চা, রাজ্য এবং কেন্দ্র সব পক্ষকেই আবেদন জানান তাঁরা। রাজেনের কথায়,‘‘কেউ গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু আগুন জ্বালানোর রাজনীতি বন্ধ করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন