জলদি ফুলকপির চাহিদায় খুশি চাষি

কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে নতুন বাজার, রেলগেট বাজার, জামাই বাজার সর্বত্রই গড়ে ১০০-১২০টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। এতে হাসি ফুটেছে ওই চাষিদের মুখে। খুশি কোচবিহারের উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৬
Share:

দর: কোচবিহারে ফুলকপি কিনছেন এক ক্রেতা। নিজস্ব চিত্র

পুজোর মুখে কোচবিহারে আনাজের বাজারে চাহিদা বেড়েছে জলদি ফুলকপির। কিন্তু বন্যায় ক্ষতির জেরে এ বার যোগান তুলনামূলকভাবে কম। যার জেরে দাম বেড়েছে ফুলকপির।

Advertisement

কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে নতুন বাজার, রেলগেট বাজার, জামাই বাজার সর্বত্রই গড়ে ১০০-১২০টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। এতে হাসি ফুটেছে ওই চাষিদের মুখে। খুশি কোচবিহারের উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা। ওই দফতরে জেলা আধিকারিক খুরশিদ আলম বলেন, “ নিশ্চিত লাভের বিষয়টি মাথায় রেখেই কয়েক বছর থেকে জলদি ফুলকপি চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

এ বার বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বীজতলা ক্ষতগ্রস্থ হওয়ায় পুজোর মুখে চাহিদার তুলনায় যোগান খানিকটা কমেছে। তারমধ্যেও গ্রিন হাউস কিংবা উঁচু জমিতে যারা চারা বাঁচাতে পেরেছিলেন তাদের ফলন উঠতে শুরু করেছে। বাজারে ভাল দাম মিলছে।”

Advertisement

ওই দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর এলাকায় জলদি ফুলকপির চাষ হয়। অগস্ট মাসেই মূলত জলদি ফুলকপির চারা লাগান হয়। এ বার পুজো এগিয়ে বলে জুলাই থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু বন্যার জেরে বিস্তীর্ণ এলাকার বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে জল নামার পরে চাষিদের অনেককেই নতুন করে বীজতলা করে চারা লাগাতে হয়। কেবলমাত্র উঁচু জায়গা, গ্রিন হাউস চাষে সমস্যা হয়নি।

কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বলেন, “শুধুমাত্র ভবানীগঞ্জ বাজারেই দৈনিক গড়ে প্রায় দেড়শো কেজি লোকাল ফুলকপির চাহিদা রয়েছে। সেটাও মাঝেমধ্যে মিলছে না।”

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গৃহস্থের বাড়িতে তো বটেই হোটেলগুলিতেও উৎসবের মরসুমে ফুলকপির রকমারি মেনু করা হয়। ফুলকপির রসা, ঝাল, ঝোল, ধনেপাতা ফুলকপি থেকে পকোড়া। তারজেরেই চাহিদা বেড়ে যায়।

কোচবিহারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এক সময় জেলার ফুলকপি মেঘালয়ের শিলংয়ে রফতানি হত, এখন সেখান থেকে আসছে বলে তবু কিছুটা রক্ষা। না হলে দাম আরও বাড়ত। এক চাষি, নরেন দাস বলেন, “অন্যবার পুজোও থাকে অক্টোবরে, বন্যায় এমন ক্ষতিও হয় না। দুদিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয়।” জেলা আলু-ধান-পাট চাষি সংগ্রাম সমিতির সম্পাদক নৃপেন কার্জি বলেন, “জলদি ফুলকপি চাষে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। না হলে জোগান বেশি হত। অনেক বেশি চাষি লাভবান হতেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন