দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেত দিয়ে প্রধান শিক্ষকের মারের অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের প্রাইমারি সেকশনে।
ছাত্রটির ডান হাতের একটি আঙুলের নখে চোট লেগেছে। বুধবার এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে অভিভাবকেরা অনেকেই স্কুলে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ছাত্রটির মা’ও প্রতিবাদে সরব হন। লিখিত ভাবে কোথাও অভিযোগ দায়ের না করলেও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে, তিনি অন্য রকম কিছু ভাববেন বলেও জানান। তবে স্কুলের পক্ষে দাঁড়িয়ে একদল অভিভাবক পাল্টা প্রতিবাদে সরব হন। সংবাদমাধ্যমে খবর কারা দিয়েছে জানতে চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। দু’পক্ষের বাদানুবাদে উত্তেজনা ছড়ায়। শেষে শিক্ষক, অভিভাবকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশীল চক্রবর্তী অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্লাসের ভিতরে বাইরে কয়েক জন খুব দুষ্টুমি করছিল। তাই শাসন করতে বেত দিয়ে মারি। খুব জোরে মারিনি। হঠাৎ করে ছেলেটির নখে লেগে গিয়েছে। আমার ভুল স্বীকারও করে নিয়েছি।’’ তিনি জানান, ছাত্রদের নিজের ছেলের মতোই ভালবাসেন। সবাই বাড়ি নিয়ে না যাওয়া অবধি স্কুলে থাকেন। সেখানে শাসন করতে গিয়ে যদি একটু ভুল হয়ে থাকে, তার জন্য চিৎকার, বিক্ষোভ কেন! তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্কুলের নিয়মকানুন, অভিভাবকদের ঘোরাফেরা নিয়ে কড়াকড়ি করি বলেই হয়তো এমনটা হল।’’
দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রের দাবি, শৌচালয় থেকে করিডর হয়ে ফেরার সময় প্রধান শিক্ষক বকাবকি করেন। বেত দিয়ে হাতে মারেন। পা দিয়েও মারেন বলে ছেলেটির দাবি। তার মা জানান, বুধবার ছেলে তাঁকে জানায়, শিক্ষক তাকে আরও মারধরের ভয় দেখিয়েছেন। মায়ের বক্তব্য, ‘‘এমন কেন হল তা প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনতে এসেছিলাম। কোনও বিক্ষোভ বা লিখিত অভিযোগ করিনি। অভিভাবকদের একাংশের বক্তব্য, শিক্ষকেরা শাসন তো করবেন। তা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে লোক জড়ো করার কোনও মানেই হয় না।