Maldah

চালের ড্রামে মরা ইঁদুর-কাণ্ডে সাসপেন্ড প্রধান শিক্ষক, পরিদর্শক

প্রশাসন ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরদিন বিডিও সমেত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে। প্রশাসনের তরফে সেই রিপোর্ট শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিল বিভাগে পাঠানো হয়।

Advertisement

বাপি মজুমদার 

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০২
Share:

চালের পাত্রে মরা ইঁদুর, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক। প্রতীকী চিত্র।

মালদহের চাঁচলে মিড-মিলের চালের ড্রাম থেকে মরা টিকটিকি ও ইঁদুর উদ্ধার হওয়ায় ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিল শিক্ষা দফতর। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট চক্রের স্কুল পরিদর্শককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চুক্তি ভিত্তিক কর্মী শিক্ষা পরিদর্শককে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছিল। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয় রাজ্য শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিল বিভাগের তরফে শনিবার সেই নির্দেশ জেলায় এসে পৌঁছেছে। যদিও ঘটনার জন্য স্কুল পরিদর্শককে কেন সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হল, সংগঠনের তরফে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, ‘‘এটা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। ফলে আমার কিছু বলার নেই।’’

প্রশাসন ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরদিন বিডিও সমেত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে। প্রশাসনের তরফে সেই রিপোর্ট শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিল বিভাগে পাঠানো হয়। তাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায়, খরবা-২ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আব্দুল হানিফ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী শিক্ষা পরিদর্শক স্বপ্না সরকারের গাফলতি রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। প্রথম দুজনকে সাসপেন্ড ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে বরখাস্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়। এরপরই শিক্ষা দফতরের তরফে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সনকে, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারকে(সিএসই) নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিল বিভাগ। আর এডুকেশন সুপারভাইজারকে এরমধ্যেই বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।

Advertisement

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপর্সন বাসন্তী বর্মন বলেন, আজ, ‘‘বিষয়টি এখনও সেভাবে জানিনা। সোমবার অফিস খুললেই বলতে পারব।’’

কোনও মন্তব্য করতে চাননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘‘গত ২ জানুয়ারি কাজে যোগ দিয়েছি। চক্রে ১৬৬টি স্কুল। টিকাকরণ চলছে। ফলে এই ঘটনায় আমি কতটা দায়ি তা তদন্তের বিষয়।’’

বিদ্যালয় পরিদর্শক সংগঠনের জেলা সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল আমাদের বিষয় নয়। এ জন্য ব্লকে নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে। ফলে প্রশাসন কীসের ভিত্তিতে এমন সুপারিশ করল তা বুঝতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন