উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজে ২৩ জন কর্মী নিয়োগের জন্য গত অগস্টে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু নির্দেশিকায় কোথা থেকে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে, কোন বিভাগে, কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নেওয়া হবে সে সব কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ। তাই আট মাস ধরে জট পাকিয়ে রয়েছে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া। মাত্র পাঁচ কর্মী নিয়ে কলেজ এবং বহির্বিভাগ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় রোগীদের টিকিট বিলি থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসার সময় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা, চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা-নেওয়া, সে সমস্ত জীবাণু মুক্ত করার মতো কাজে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তী জানান, সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানালে মাস খানেক আগে নতুন নির্দেশিকা এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘কর্মী নিয়োগের জন্য যে নির্দেশিকা এসেছিল তা স্পষ্ট ছিল না। পরের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। মাসখানেক আগে তা এসেছে। সেই মতো কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে।’’
উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ অগস্ট স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে ‘আউট সোর্সিং’-এর মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিতে ২৩ জন কর্মীকে নিয়োগের কথা জানানো হয়। নির্দেশিকায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ওই কর্মীদের নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই নির্দেশিকায় কোথাও বলা নেই ওই কর্মীদের বেতন কী ভাবে দেওয়া হবে? কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে? কী ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সে সব কিচুই স্পষ্ট করে জানানো ছিল না। সে জন্যই সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই বিষয়টি জানালে পরবর্তী নির্দেশিকা পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। নির্দেশিকা জারি, তা নিয়ে সমস্যার কথা জানানো, ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করতেই গড়িযে যায় আট মাস।