নির্মাণ চলার সময় নিয়ম না মেনে প্রোমোটারদের একাংশ গা জোয়ারি করে কাজকর্ম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে প্রশ্ন উঠেছে। পুর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
সম্প্রতি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত লোহার রড মাথায় পড়ে জখম হয় এক শিশু। তার মাথায় ১২ টি সেলাই পড়েছে। ওই ঘটনার পরও পুরসভার তরফে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অনেকের ক্ষোভ কেন এর পরেও এ ভাবে কাজ বন্ধ করা হয়নি। কেন পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। সোমবার ওই নির্মীয়মাণ ভবন দেখতে যান পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ নুরুল ইসলাম। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজয় ঘটকও ছিলেন।
সুজয়বাবুর দাবি, নিয়ম মেনে নির্মাণের জায়গা ঢেকে কাজ করা দরকার, যাতে কোনও কিছু রাস্তায় বা পথচারীদের উপর না পড়ে। অথচ তা করা হচ্ছিল না। ভবিষ্যতে ওয়ার্ডে যাতে এ ভাবে নির্মাণ কাজ না হয় তা তাঁরাও নজরে রাখবেন বলে জানান। নুরুল বলেন, ‘নিয়ম মেনে ঢাকা দিয়ে কাজ করলে এটা হত না। পুরসভার বাস্তুতারদেরও একটি দল বিষয়টি দেখে রিপোর্ট দেবে। মঙ্গলবারই প্রোমোটারদের নোটিশ পাঠানো হবে।’’ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।
চাঁর বছরের যে শিশুর মাথায় চোট লেগেছে তাঁর বাবা শান্তায়ন সরকার বলেন, ‘‘পুরসভাকেও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আমার মেয়ের মতো আরও কারও এমন ক্ষতি না হয়।’’
নির্মাণ কাজ যারা করছেন সেই প্রোমোটার সংস্থার অন্যতম সৌরভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নির্মাণের জায়গায় আমরা ঢাকা দিয়ে থাকি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা ছিল না। এটা আমাদের ভুলই হয়েছে। আমরা দুঃখিত। ওই পরিবারের পাশেও আমরা রয়েছি।’’
শিলিগুড়ি বিরোধী দলনেতা নান্টু পালের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে নির্মাণ কাজ করা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁর কথায় ‘‘প্রোমোটারদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পুরসভা হাত গুটিয়ে বসে থাকে। তাদের সঙ্গে কী বোঝাপড়া রয়েছে তা বাসিন্দারা ভালই বোঝেন।’’ নুরুলের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমাদের সঙ্গে নয়, বোঝাপড়া নান্টুবাবুদের সঙ্গেই। আমরা অবৈধ অনেক নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেও পুলিশি সাহায্য মিলছে না।’’