ফাইল চিত্র।
অনিয়মের অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই আধিকারিকের বেতন নিয়ে। একই অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন আধিকারিকের পদোন্নতি ও বেতন নিয়েও।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কর্মরত দুই আধিকারিক পদোন্নতি পেয়েছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত প্রাপ্য বেতনের চেয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বেশি নিয়েছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক আধিকারিককে নিয়ম ভেঙে ওএসডি পদে বসিয়ে মোটা টাকা বেতন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই আধিকারিককে কোন খাত থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিতে চেয়ে শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপকুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়গুলো নজরে আসার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরেও জানান হয়েছে। শিক্ষা দফতর থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পেলেই আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বছর খানেকে আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আধিকারিক ও কর্মী ওই আধিকারিকদের পদোন্নতি ও বেতন সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ তুলে তা লিখিত আকারে জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তারই একটি কপি পাঠানো হয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে কর্মরত দুই আধিকারিকের একজন রেজিস্ট্রার শাখায় কর্মরত আছেন। অন্যজন অন্য একটি শাখার কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি সম্প্রতি লিয়েন নিয়ে একটি কলেজে যোগ দিয়েছেন। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুসারে স্বাভাবিকভাবে দুই আধিকারিকের যা বেতন পাওয়ার কথা পদোন্নতি হওয়ায় একজন তার তুলনায় কয়েক বছরে প্রায় ১৬ লক্ষ এবং অন্যজন প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা বেশি বেতন নিয়েছেন। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা শিক্ষক থেকে আধিকারিক হয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিয়ম এবং পদোন্নতির জন্য রাজ্য সরকারের নিয়ম বিশ্লেষণ করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অবসর নেওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক শাখার এক আধিকারিককে ছয় মাস করে তিন দফায় ওএসডি পদে বসিয়ে মোটা টাকা মাইনে দেওয়া হয়েছে বলেও শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে ওএসডি পদটির বৈধতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ওএসডি হিসাবে যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা পুরোটাই বেআইনি কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা অডিট রিপোর্ট
খতিয়ে দেখছি। কোন খাত থেকে টাকা দেওয়া হল সেটাও দেখে হচ্ছে।
নিয়ম ভাঙা হলে কড়া ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’’