বেহাল পরীক্ষা কেন্দ্রে ক্ষোভ অভিভাবকদের

প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় এ বারে ৪২,০৩৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে কোচবিহার সদর মহকুমায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০,২৩৩ জন। এই সদর এলাকার মধ্যেই পড়ে কোচবিহার শহর। শহরের স্কুলগুলিতেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার আসন পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

ইন্দিরাদেবী গার্লস স্কুলে অভিভাবকেরা। নিজস্ব চিত্র

কোথাও আবর্জনা পড়ে রয়েছে। কোনও পরীক্ষা হলের বেঞ্চ ভাঙা। সোমবার তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কোচবিহারের ইন্দিরাদেবী গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া ছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশ। শুধু ওই স্কুল নয়, নিউ টাউন গার্লস হাইস্কুল নিয়েও এমন অভিযোগ উঠেছে। শহরের স্কুলগুলির পরিকাঠামো এমন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই অভিভাবকেরা। পরে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পরে কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা এবং পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে একাধিক স্কুলে পরিদর্শনে যান। জেলাশাসক বলেন, “কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় এ বারে ৪২,০৩৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে কোচবিহার সদর মহকুমায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০,২৩৩ জন। এই সদর এলাকার মধ্যেই পড়ে কোচবিহার শহর। শহরের স্কুলগুলিতেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার আসন পড়ে। শহরতলি এলাকার স্কুলগুলির পরীক্ষাকেন্দ্রও শহরে পড়ে।

সাধারণ ভাবে শহরের স্কুলগুলির পরিকাঠামো গ্রামের স্কুলের থেকে ভাল। ক্লাসঘর থেকে শুরু করে শৌচাগার, পানীয় জল সহ সব রকম সুবিধে রয়েছে। কিন্তু ইন্দিরাদেবী গার্লস স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া এক ছাত্রীর অভিভাবক পপি সরকার বলেন, “ঘরের ভেতরে নোংরা পড়ে রয়েছে, জানলা দিয়ে বাইরে তাকানো যায় না। এমন একটি নামী স্কুলের পরিস্থিতি এমন হয় কী করে।” স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

ওই স্কুলেই পরীক্ষা দিয়ে যাওয়া আর এক ছাত্রীর অভিভাবক বাবু মিয়াঁ বলেন, “কয়েকটি ক্লাসরুমের বেঞ্চের অবস্থা খুব খারাপ। নড়বড় করছে। সুস্থ ভাবে পরীক্ষা দেওয়াই তো কষ্টকর। আর চার দিকে আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। এই বিষয়গুলি আগে থেকে দেখা উচিত ছিল।”

স্কুলের তরফে অবশ্য জানানো হয়, স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা কম। তার পরেও যা পরিকাঠামো রয়েছে তা ঠিকঠাক রাখার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখা হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহারের প্রতিনিধি মিঠুন বৈশ্য বলেন, “পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোথাও বড় কোনও অভিযোগ ওঠেনি। অন্য অভিযোগ থাকলে তা দেখে নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন