গৌড়বঙ্গ

আন্দোলনে নম্বর বাড়বে না: পার্থ

ছাত্র আন্দোলন অব্যাহত থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। নম্বর বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র সহ অন্যান্য আধিকারিকদের ঘেরাও করে রাখলেন স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৫
Share:

উপাচার্যর ঘরের সামনে ঘেরাও পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র

ছাত্র আন্দোলন অব্যাহত থাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। নম্বর বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র সহ অন্যান্য আধিকারিকদের ঘেরাও করে রাখলেন স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত উপাচার্যের ঘরের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যান তাঁরা। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় উপাচার্যকে ফোন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে উপাচার্য গোপালবাবু বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য দাবি মানা হলেও, সকলকে ১৫ নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অযৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে না।’’ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানান, ‘‘রিভিউয়ে যা বেড়েছে তাই। আর কোনও নম্বর বাড়ানো হবে না।’’

Advertisement

শুক্রবার দুপুর থেকে উপাচার্য গোপাল মিশ্রের ঘরের সামনে নম্বর বাড়ানো এবং পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাসের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। ঘেরাও হয়ে থাকায় দফতরেই রাত কাটান গোপালবাবু। তাঁর সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত কাটান পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস, কলেজ সমূহের পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবতী, ও বাংলা বিভাগের অন্যান্য অধ্যাপকরা।

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, পরীক্ষার খাতা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন না হওয়ায় ৮০ শতাংশ পরীক্ষার্থী গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ করে নম্বর পেয়েছে। ফলাফল প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতনবাবুর ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হলে নম্বর বাড়ানোর মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকা তিনি জানান, মূল্যায়নের ভিত্তিতে সবাইকে নম্বর দেওয়া হবে। তাই সনাতনবাবুর অপসারনের দাবি তুলে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্দেশ্যহীন ভাবে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা তৈরি করছে। তাদের দাবি মেনে নিয়ে অন্তবর্তী পরীক্ষা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নেওয়া হচ্ছে। নিখরচায় একাধিক পত্রের খাতার পূনর্মূল্যায়ন করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গড়ে সবাইকে ১৫ নম্বর দেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন