বাহক: মন্দিরের পথে মুখোশ। নিজস্ব চিত্র
পথ শুদ্ধিতে রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে গঙ্গাজল। ঢাক-কাঁসরের বাদ্যির তালে মাথায় মা জহরার মুখোশ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন চার বাহক। পেছনে লুঠ দেওয়া হচ্ছে বাতাসা। ঐতিহ্য মেনে শনিবার ইংরেজবাজার শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ মুখোশ বয়ে নিয়ে যাওয়া হল জহরাতলার মন্দিরে। সেখানে প্রতিষ্ঠা করে বিকেল চারটে থেকে শুরু হল পুজো।
এই মন্দিরে বছরভরই শনি ও মঙ্গলবার করে পুজো হয়। প্রতি বৈশাখ মাসের শনি ও মঙ্গলবার করে বিশেষ পুজো হয়। এ বার বছরের প্রথম দিনই পড়েছে শনিবার। এ দিন থেকেই প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন জহরাতলার মন্দিরে শুরু হয়ে গেল একমাসের এই বিশেষ পুজো। প্রথম দিনই উপচে পড়ল ভিড়। মন্দির প্রাঙ্গণে বসেছে মেলাও। নিরাপত্তায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।
মন্দিরের পুজারী মুকুল তিওয়ারি জানান, প্রায় ৩৪১ বছর আগে, ১০৮৩ বঙ্গাব্দে তাঁদের পূর্বপুরুষ ছলু তেওয়াড়ি স্বপ্নাদেশে দেবী চণ্ডী তথা মা জহরার দর্শন পান। ছলুবাবু সেই থেকেই জহরার পুজো শুরু করেন। তার প্রায় ২০৭ বছর পর ছলুবাবুর পৌত্র হীরারাম তেওয়াড়ি বৈশাখ মাসের কোনও এক দিন ফের দেবী দর্শন পান। দেবী তাঁকে মুখোশ পুজোর আদেশ দেন। দেবীর মুখোশ বিকটবর্ণা, রক্তবর্ণা ও লোলজিহ্বা যুক্ত।
এ দিন বেলা ১১টায় শহরের নেতাজি মোড় সংলগ্ন মৃৎশিল্পী জ্যোতির্ময় পালের কুমোরটুলি থেকে মুখোশগুলি বাহকেরা মাথায় করে মন্দিরে নিয়ে যান। মন্দিরে তাতে অলঙ্কার পড়ানো হয়। পুজো চলে রাত দশটা অবধি।