রাতে বাস রুট চান পরিবহণ নিগমের কর্মীরাই

আগে রাতের বাস চলত। দীর্ঘ দিন ধরে তা বন্ধ। আগের তুলনায় বাস বাড়লেও সেই রুটগুলো কেন চালু হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলল আইএনটিইউসি-র অনুমোদিত নর্থবেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:৪০
Share:

আগে রাতের বাস চলত। দীর্ঘ দিন ধরে তা বন্ধ। আগের তুলনায় বাস বাড়লেও সেই রুটগুলো কেন চালু হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলল আইএনটিইউসি-র অনুমোদিত নর্থবেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়ন।

Advertisement

বিভিন্ন রুটে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এনবিএসটিসি) রাতের পরিষেবা বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে। বুধবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে ওই সংগঠনের ২৪তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে ওই দাবি তোলা হয়। চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণ, শূন্যপদ পূরণ, নিরাপত্তা রক্ষী, সাফাই কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ছাড়াও ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালুর দাবিও তোলা হয়েছে সম্মেলন থেকে। এ দিন রাতের পরিষেবা ছাড়়াও ভিনরাজ্যের রুটগুলো চালুর দাবিও করা হয়েছে। সংগঠনের সদস্যের দাবি, এক সময় বিহার, অসম ছাড়াও কলকাতা মিলিয়ে ২৮টি রুটে রাতের পরিষেবা চালু ছিল। তা কমতে কমতে ৮টিতে এসে ঠেকেছে। বাসিন্দারা এতে বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসের দিকে ঝুঁকছে। ওই রুটগুলোতে ১০০টিরও বেশি বেসরকারি বাস চলছে। নিগমের অফিসারদের বিষয়টি দেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিনের সম্মেলনে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেস সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। আইএনটিইউসি-র রাজ্যের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নিগমের বাসের সংখ্যা বাড়লেও রাতের পরিষেবার দিকে মন দেওয়া হচ্ছে না। রাতে সব সময়ই চাহিদা থাকে। রাতের কিছু রুট চালু হলে অবশ্যই লাভজনক হবে।’’

Advertisement

শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বা বহরমপুর-সহ মজঃফরপুর, পটনা, গুয়াহাটি, ধুবুরির মতো রুটে একাধিক রাতের বাস চলত তা এখন বন্ধ। বাম আমলের শেষে বাসের সংখ্যা ছিল ৩৮০টি। এখন তা ৮৫০ ছাড়িয়েছে। নিগমের অফিসারদের বক্তব্য, ২০১১ সালের পর থেকে স্বল্পপাল্লার বাস চালুর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকা ও স্থানীয় শহরের মধ্যে বাস চালুর ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়েছে।

বাস বাড়িয়ে দিনভর রুটগুলোতে চেকিং চলায় আয়ও ক্রমশ বাড়ছে বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু কর্মী কম থাকায় রুট বাড়াতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘কর্মী সংখ্যার সমস্যার সঙ্গে লাভের বিষয়টিও রয়েছে। রুট বাড়ালে কর্মী কম থাকার জন্য চেকিংয়ের সমস্যাও হবে।’’ যদিও পুজো বা পর্যটনের মরসুমে প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নিগমের আধিকারিকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন