ঘটনাস্থলে মন্ত্রী গৌতম দেব।—নিজস্ব চিত্র
চটেরহাটে রেল দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তদন্ত কমিটি গড়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেছেন রেলকর্তারা। তবুও শুক্রবারের এই দুর্ঘটনা অনেক প্রশ্ন তুলেছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে।
এনজেপি থেকে দুর্ঘটনাস্থল মাত্র ২০ কিলোমিটার। সেটুকু পথ পেরিয়ে উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছতেই এ দিন সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। ওই ট্রেন পৌঁছনোর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছতে কেন এত সময় লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ।
কিছুদিন আগেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্মচারী সংগঠনের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল কর্মী কম থাকায় ভাল করে ইঞ্জিন এবং রেক যাচাই হচ্ছে না। এ দিন যে ইঞ্জিনে আগুন লেগেছিল, তা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বলেই জানা গিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ইঞ্জিন ঠিকমতো পরীক্ষা না হওয়ার জন্যই এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও মাটিগাড়ায় একটি এবং অসমে একটি ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।
কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছি। যার যার যা অভাব অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা সেখানে এসে বলতে পারেন। রবিবার ও সোমবার এনজেপিতে অফিসার্স রেস্ট হাউজে নিরাপত্তা কমিশনার থাকবেন।’’ রেলের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময় পরপর ওভারহাউলিং বা খুঁটিয়ে পরীক্ষার জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতর মালিগাঁওয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ডিজেল ইঞ্জিন। কিন্তু তা হলে এরকম হতে পারে বলে তাঁদের একাংশের সন্দেহ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের এনজেপির নেতা রণজয় চন্দ বলেন, ‘‘রেলের বেশ কিছু বিভাগে কর্মী কম থাকার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা মার খায়।’’
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রী চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘‘ট্রেনের ইঞ্জিন ছাড়ার আগে তা ভাল করে পরীক্ষা না করলে যাত্রীদের প্রাণসংশয় হতে পারে। এটা রেল আর কবে বুঝবে?’’