কেন সাত দফায় ভোট, উঠছে প্রশ্ন

রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন ঘোষণায় খুশি বিজেপি। তবে দফা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সিপিএম, কংগ্রেস সহ পাহাড়ের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন ঘোষণায় খুশি বিজেপি। তবে দফা নিয়ে মাথাব্যথা নেই সিপিএম, কংগ্রেস সহ পাহাড়ের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের। তাঁদের দাবি নির্বাচন করা হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। তবে বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক হানাহানি শুরু হয়েছে তার প্রেক্ষিতেই সাত দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিরোধী দলের অনেক নেতাই দাবি করেছেন নির্বাচনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে থেকে এবং নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও প্রতিটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। যদিও এখনই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে রাজ্য কমিটিই যা বলায় বলবে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরই যা বলার বলব।’’ কলকাতায় এ দিন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য রাজ্যে সাত দফায় ভোট করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।

Advertisement

ভোট প্রচারের কম সময় পাওয়া নিয়েও চিন্তিত নন বিরোধীরা। জন আন্দোলন পার্টির (জাপ) সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা দিয়েই কাজ করতে হবে। তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে সবাই ভোট দিতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করাই স বথেকে বড় কথা। প্রচারের সময় কিছুটা কম পাওয়া গেলেও আমাদের সে ভাবেই ব্যবস্থাপনা করতে হবে।’’

পাহাড় ছাড়াও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপরা ব্লকের একটা অংশ। রাজনৈতিক হানাহানিতে সম্প্রতি বার বার রক্তাক্ত হয়েছে চোপরা। বিমল গুরুংয়ের আত্মগোপনের পর পাহাড়ে বড় কোনও হানাহানির ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলি একযোগে বিনয়পন্থী মোর্চার বিরুদ্ধে পাহাড়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি সমতলের কিছু এলাকাতেও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন বিনয় তামাং বলেন, ‘‘আমার লড়াই করার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা নিয়ে দলে আলোচনা করে তবেই মতামত জানাব।’’ বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরি বলেন, ‘‘সাত দফায় ভোট হওয়ায় আশা করছি সব এলাকাতেই পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ফলে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রচারের কাজ শুরু করেছি। কাল থেকেই বুথ ভিত্তিক কর্মসূচি শুরু হবে।’’

Advertisement

নির্বাচন কমিশন যাতে ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করে তা সুনিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন সিপিএম সহ বাম দলগুলি। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘অতীতে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তাই না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’ অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোন অবস্থাতেই যেন রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট না হয় সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।’’ জিএনএলএফ মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষ ভয়ে আছে। তাদের ভরসা জোগাতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নিতে হবে কমিশনকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন