বিমল গুরুং।—ফাইল চিত্র।
প্রায় বছর খানেক হল আত্মগোপন করে আছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চলছে। তবে মাঝে মধ্যেই পাহাড় সংক্রান্ত বিষয়ে বিমল ও রোশনের নামে নানা বার্তা ও ভিডিও ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। বুধবারও বিমলের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পরে হোয়াট্সঅ্যাপ ও ফেসবুকে। কোথা থেকে আসছে ওই সব বার্তা? এই প্রশ্ন তুলে বার্তার উৎসস্থল খুঁজে বের করতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। বিনয়ের বক্তব্য, ‘‘বিমল, রোশনের নাম করে কিছু মানুষ পাহাড়ে অশান্তি ছড়াতেই মাঝে মধ্যে ওই সব বার্তা পরিকল্পিত ভাবে ছড়াচ্ছেন। যারা ওই কাজ করছে তাঁদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। প্রশাসন সবটা তদন্ত করে দেখুক।’’
দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) অমরনাথ কে বলেন, ‘‘আমরা বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখছি। আইন মেনে ব্যবস্থা হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই বিমল, রোশনদের বার্তা ছড়ানোর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আগে কয়েক মাস পর পর হঠাৎ একটা করে বার্তা পাওয়া যেত। তবে শেষ এক মাসে বিমল ও বিমলপন্থী নেতাদের ৯টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পরেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিনয়ের প্রায় প্রতিটি সভার শেষে বিমলপন্থীদের একটি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ইদানীং পাহাড়ের ছোট ছোট বিষয় নিয়েও বিমলপন্থীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে। সহজেই বোঝা যায় পাহাড়ের প্রতিটি ঘটনা নিয়ে ওয়াকিবহাল বিমল ও তাঁর অনুগামীরা।’’
বিনয়পন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা বলেন, ‘‘ওই হোয়াট্সঅ্যাপ বা অন্য বার্তাগুলো কোথা থেকে আসছে, তা খুঁজে বার করা খুব শক্ত নয়। সেই সূত্রে ধরেই যাঁরা বার্তা ছড়াচ্ছেন তাদের কাছে পৌঁছনো যেতে পারে। সেটা হলেই আসল ঘটনা সামনে আসবে।’’