Bharat Jodo Nyay Yatra

ন্যায়যাত্রার পথে ভিড়ে খুশি রাহুল

হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংলা-বিহার সীমানার মহড়া গ্রামে কাটিহারের জেলা নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাতে পতাকা তুলে দেন।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪২
Share:

ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

বুধবার বেলা ১১টা ৪০মিনিট। বিহারের লাভা থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। আর সুজাপুরের হাতিবাড়ি মাঠে এ দিনের কর্মসূচি তিনি শেষ করেন সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ। প্রায় সাত ঘণ্টার ১০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে কর্মী, সমর্থকদের উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখে ধন্যবাদ জানান তিনি। শহরের ফোয়ারা মোড়ে হুড খোলা জিপ থেকে রাহুল বলেন, “রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থেকে প্রচুর মানুষ সমর্থন করেছেন, ভালবেসেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ।”

Advertisement

যদিও মানুষের এই ভিড়-উদ্দীপনা আগামী লোকসভা ভোটে ভোটবাক্সে পড়বে কি না, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। এ দিন রতুয়ার দেবীপুর মাঠে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “রাহুল গান্ধী যেখানেই যাবেন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাবেন। মালদহেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মানুষ ভোট কোথায় দেবেন, তা মানুষের ব্যাপার। আমরা মানুষের কাছে ভোট চাই। ভোটার নই।”

হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংলা-বিহার সীমানার মহড়া গ্রামে কাটিহারের জেলা নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাতে পতাকা তুলে দেন। রাহুল গান্ধীর জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সে মঞ্চে রাহুল ওঠেননি। গাড়ির উপরে দাঁড়িয়েই দুই রাজ্যের নেতৃত্বের মধ্যে পতাকা হস্তান্তর হয়। রাহুল লভা না করায় হতাশ কর্মী-সমর্থকেরা। পরে, হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা রোড হয়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রা পৌঁছয় রতুয়ার দেবীপুর মাঠে। সেচ দফতরের বাংলোয় তাঁর মধ্যহ্নভোজন করার কথা থাকলেও প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় মাঠে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হয় বলে জানান অধীর। মাঠের মধ্যে প্যান্ডেলে ভাত, ডাল, গাজরের হালুয়া, মুরগির মাংস, কাঁচা আমের চাটনি, মিস্টি, দই দিয়ে মধ্যহ্নভোজন সারেন রাহুল গান্ধী, দাবি দলীয় নেতৃত্বের।

Advertisement

এ দিনের কর্মসূচিতে কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে শামিল হন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। পরে, রাহুল গান্ধীর যাত্রা পথে সর্বত্রই দুই দলের পতাকা একসঙ্গে নিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। ফোয়ারা মোড়ে পাঁচ মিনিট বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। পরে, সন্ধে সাড়ে ছয়টা নাগাদ সুজাপুর হাতিবাড়ি মাঠে তাঁর কর্মসূচি শেষ হয়। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর হয়ে ফরাক্কায় পৌঁছবেন রাহুল, দাবি নেতৃত্বের।

তথ্য: বাপি মজুমদার, জয়ন্ত সেন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন