রেলের ফোনে মায়ের খোঁজ

রেল সূত্রের খবর, রেলের বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফের কাছে বিষয়টি নিয়ে মেসেজ পৌঁছে যায়৷ ইতিমধ্যে রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রেল গেটের সামনে এক বৃদ্ধাকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ১২:১০
Share:

ট্রেন থেকে নিখোঁজ বৃদ্ধাকে পরিবারের হাতে তুলে দিল আরপিএফ। নিজস্ব চিত্র

রেলের হেল্প লাইনে ফোন করে ট্রেন থেকে হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা মা-কে খুঁজে পেলেন ছেলে৷ সোমবার জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের ঘটনা। এ দিন আরপিএফ কর্তারা বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা সুদামা দেবী (৮০)-কে তাঁর ছেলের হাতে তুলে দেন৷

Advertisement

১৫ জুলাই ভোর রাতে কাটিহার থেকে শিলচর যাওয়ার জন্য ছেলে অমরনাথ সিং ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে চাপেন সুদামাদেবী৷ ওই ট্রেনের বি-৩ কামরায় ছিলেন তাঁরা৷ অমরনাথবাবু জানান, ‘‘ট্রেন যখন নিউ জলপাইগুড়িতে তখন মা বাথরুম থেকে ফিরে নিজের আসনে বসেন৷ তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷ ট্রেন নিউ কোচবিহারে ঢোকার পর দেখি মা ট্রেনে নেই৷’’

স্বাভাবিকভাবেই এরপর ট্রেনের সব কামরা খুঁজতে শুরু করেন পরিবারের বাকি সদস্যরা৷ এরপর ট্রেন বঙ্গাইগাও পৌঁছলে অমরনাথবাবু রেলের ১৮২ নম্বর হেল্প লাইনে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান৷

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, এরপরই রেলের বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফের কাছে বিষয়টি নিয়ে মেসেজ পৌঁছে যায়৷ ইতিমধ্যে রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রেল গেটের সামনে এক বৃদ্ধাকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের৷ তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই ওই কর্মীরা জানতে পারেন, ওই বৃদ্ধাই আসলে অমরনাথবাবুর হারিয়ে যাওয়া মা৷ এরপর অমরনাথবাবুকে খবর পাঠিয়ে সোমবার দুপুরে তাঁর হাতে সুদামাদেবীকে তুলে দেওয়া হয়৷ আরপিএফ কর্তাদের ধারণা, ট্রেনের মধ্যে হাঁটা-চলা করতে গিয়ে হয়তো নিজের পরিবারের বাকি সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই বৃদ্ধা৷ এরপর ট্রেনটি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ক্রসিং-এর জন্য দাড়ালে নেমে পড়তে পারেন তিনি৷ কিন্তু ফের আর ট্রেনে উঠতে পারেননি৷ রোড স্টেশনের আরপিএফ আধিকারিক আদিত্য মীনা বলেন, ‘‘অমরনাথবাবু সঠিক সময়ে রেলের হেল্প লাইনে ফোন করেছিলেন বলেই তাঁর মাকে খুজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন