ট্রেন থেকে নিখোঁজ বৃদ্ধাকে পরিবারের হাতে তুলে দিল আরপিএফ। নিজস্ব চিত্র
রেলের হেল্প লাইনে ফোন করে ট্রেন থেকে হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা মা-কে খুঁজে পেলেন ছেলে৷ সোমবার জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের ঘটনা। এ দিন আরপিএফ কর্তারা বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা সুদামা দেবী (৮০)-কে তাঁর ছেলের হাতে তুলে দেন৷
১৫ জুলাই ভোর রাতে কাটিহার থেকে শিলচর যাওয়ার জন্য ছেলে অমরনাথ সিং ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে চাপেন সুদামাদেবী৷ ওই ট্রেনের বি-৩ কামরায় ছিলেন তাঁরা৷ অমরনাথবাবু জানান, ‘‘ট্রেন যখন নিউ জলপাইগুড়িতে তখন মা বাথরুম থেকে ফিরে নিজের আসনে বসেন৷ তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷ ট্রেন নিউ কোচবিহারে ঢোকার পর দেখি মা ট্রেনে নেই৷’’
স্বাভাবিকভাবেই এরপর ট্রেনের সব কামরা খুঁজতে শুরু করেন পরিবারের বাকি সদস্যরা৷ এরপর ট্রেন বঙ্গাইগাও পৌঁছলে অমরনাথবাবু রেলের ১৮২ নম্বর হেল্প লাইনে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান৷
রেল সূত্রের খবর, এরপরই রেলের বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফের কাছে বিষয়টি নিয়ে মেসেজ পৌঁছে যায়৷ ইতিমধ্যে রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রেল গেটের সামনে এক বৃদ্ধাকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের৷ তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই ওই কর্মীরা জানতে পারেন, ওই বৃদ্ধাই আসলে অমরনাথবাবুর হারিয়ে যাওয়া মা৷ এরপর অমরনাথবাবুকে খবর পাঠিয়ে সোমবার দুপুরে তাঁর হাতে সুদামাদেবীকে তুলে দেওয়া হয়৷ আরপিএফ কর্তাদের ধারণা, ট্রেনের মধ্যে হাঁটা-চলা করতে গিয়ে হয়তো নিজের পরিবারের বাকি সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই বৃদ্ধা৷ এরপর ট্রেনটি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ক্রসিং-এর জন্য দাড়ালে নেমে পড়তে পারেন তিনি৷ কিন্তু ফের আর ট্রেনে উঠতে পারেননি৷ রোড স্টেশনের আরপিএফ আধিকারিক আদিত্য মীনা বলেন, ‘‘অমরনাথবাবু সঠিক সময়ে রেলের হেল্প লাইনে ফোন করেছিলেন বলেই তাঁর মাকে খুজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’’