ম্যাকউইলিয়াম হলকে আগের অবস্থায় ফেরাতে মন্ত্রীর আশ্বাস

প্রশাসন সূত্রের খবর, গত রবিবার কোচবিহারের ল্যান্সডাউন হলে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার নাট্যদলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির এক ঝাঁক সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৬
Share:

কেন্দ্রবিন্দু: বিতর্কিত এই জমি ঘিরেই এখন আন্দোলনে শহরের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

ঐতিহ্যবাহী ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিটউটকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে এবার উদ্যোগী হলেন রাজ্যের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে চিঠি দেবেন বলে মঙ্গলবার মন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, গত রবিবার কোচবিহারের ল্যান্সডাউন হলে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার নাট্যদলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির এক ঝাঁক সদস্য। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী রাজীবও। ওই বৈঠকেই আলিপুরদুয়ারের নাট্যকর্মীরা এই ইনস্টিটিউটকে আগের অবস্থায় ফেরানো ও নবনির্মিত রবীন্দ্র মঞ্চকে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করার দাবি তোলেন। সেইসঙ্গে আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র ও সুকান্ত মঞ্চকে অবিলম্বে চালু করার দাবিও তোলেন তাঁরা। তবে আলিপুরদুয়ারের নাট্যব্যক্তিত্বেরা সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউটকে আগের অবস্থায় ফেরানোর দাবিতে।

আলিপুরদুয়ারের নাট্যকর্মী পরিতোষ সাহা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারে নাট্যচর্চার শেষ সম্বল ছিল শতবর্ষে পা দেওয়া এই ইনস্টিটিউট। আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ, অডিটোরিয়াম ও সুইমিং পুলের নাম করে যা দু’বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে নাট্যচর্চা কার্যত বন্ধ। অন্যদিকে, ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউটও একই ভাবে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা সেখানে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ চাই না। আমরা চাই এই ইনস্টিটিউটকে সংস্কার করে আগের অবস্থায় ফেরানো হোক। সেই কথাই মন্ত্রীকে বলেছি।’’

Advertisement

এ দিন রাজ্যের বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোচবিহারে দুই জেলার নাট্যকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। তাঁদের সমস্যার কথা আমরা শুনেছি। আলিপুরদুয়ারের নাট্যকর্মীরা ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউটকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া এবং আরও কিছু দাবির কথা বলেছেন। বিষয়গুলি নিয়ে আমি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথা বলব। মন্ত্রীকে শীঘ্রই চিঠি দেব।’’

আলিপুরদুয়ার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই ইনস্টিটিউটটি। স্থানীয় নাট্য কর্মীদের কথায়, সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যেই ১৯১৯ সালে এই হলঘরটি গড়ে ওঠে৷ পরবর্তীকালে অবশ্য হলঘরটি একটি সিনেমা হলকে লিজে দেওয়া হয়৷ যে সিনেমা হলটি মায়া টকিজ নামে পরিচিত৷ তবে মাসে তিনদিন সেখানে নাটক বা অন্য কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য হলটি ভাড়া পাওয়া যেত৷

বছর দুয়েক আগে সিনেমা হলটি বন্ধ করে দিয়ে ওই জমিতে নতুন করে একটি থিয়েটার হল, মাল্টিপ্লেক্স ও সুইমিং পুল বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ সেজন্য বছর দুয়েক আগে সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ সুইমিং পুল তৈরির জন্য এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিটের জমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সুইমিং পুলের জন্য জমিটি প্রয়োজনের তুলনায় আকারে ছোট কারণ দেখিয়ে সেই কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন