মোদীর সামনেও ‘স্থায়ী সমাধান’

বিরোধী নেতারা, বিশেষ করে তৃণমূল নেতারা বলছেন, রাজ্য রাজনৈতিক জমি হারানোর ভয়ে থেকে এখনও আলাদা রাজ্য বা গোর্খাল্যান্ডের শব্দটি ব্যবহার করছেন না বিজেপি সাংসদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও আলাদা রাজ্য ‘গোর্খাল্যান্ডে’র নাম উচ্চারণ করলেন না দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। তার বদলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছেন। ২০১৯ সালের ভোটের আগে দলের ‘সংকল্পপত্রে’ পাহাড় সমস্যার সমাধানের কথা বলা হয়েছিল। তা রাজু প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। তিনি পরে দাবি করেন, সব শোনার পর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। রাজু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আলোচনা করব।’’

Advertisement

বিরোধী নেতারা, বিশেষ করে তৃণমূল নেতারা বলছেন, রাজ্য রাজনৈতিক জমি হারানোর ভয়ে থেকে এখনও আলাদা রাজ্য বা গোর্খাল্যান্ডের শব্দটি ব্যবহার করছেন না বিজেপি সাংসদ। লোকসভা এবং পাহাড়ে বিধানসভা উপ-নির্বাচনের আগে অবশ্য গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখিয়েই ভোট চাওয়া হয়েছিল। বিজেপিকে ভোট দিলেই রাজ্যভাগ হবে বলেও তলতলে প্রচার হয়েছিল।

তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘রাজ্যের বক্তব্য তো ওঁদের মুখেই শুনেছি। এখন কেন জানি চুপ হয়ে রাজ্যের দেখানো পথে রাজনৈতিক সমাধান চাইছেন।’’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আটটি চা বাগান খোলার কথা বলেও তা হয়নি। বাগানের জন্য কেন্দ্র কিছুই ঘোষণা করছে না। পাহাড়ে তিন বার বিজেপি জিতল। অথচ পাহাড়ে জন্য কোনও স্পেশাল প্যাকেজ নেই!

Advertisement

গত সপ্তাহেই মোর্চার বিনয় তামাং প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং সাংসদকে চিঠি লিখে সংসদে আলাদা রাজ্যের বিল আনার পক্ষে সওয়াল করেন। সেই সঙ্গে ১১টি গোর্খা জনজাতিকে তফসিলি জনজাতিকে কেন্দ্র দ্রুত স্বীকৃতি দিক, দাবি ছিল বিনয়ের। তিনি বলেন, ‘‘আলাদা রাজ্যের স্বপ্ন পাহাড়ে বিজেপি ২০০৯ সাল থেকে দেখাচ্ছে। এ বার ওঁদের সংসদে বিল আনা উচিত।’’ তিনি জানান, ‘‘আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, খোদ প্রধানমন্ত্রী গোর্খাদের স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন বলে গিয়েছিলেন।’’

যদিও বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স নিয়েই আলাদা রাজ্যের দাবি উঠেছিল। বিমল গুরুঙের নেতৃত্বে এই নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন হয়। এখন সেই বিষয়েই স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলা হচ্ছে। বিরোধীরা অকারণে অপব্যখ্যা করছেন।

এ দিন সাংসদ বিস্তা প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গের আর্থ সামজিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন, চিকেন্স নেক নিয়ে সুরক্ষার কথা বলেন। শিলিগুড়ির গুরুত্বের কথা জানান। ১১টি পাহাড়ি জনজাতিকে তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতির দেওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধও করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন