বিবেকানন্দকে নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথ ভাবে পরিচিত করাতে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি দুই শহরের প্রায় পৌনে দু’হাজার পড়ুয়াকে ক্লাসে ডাকছে রামকৃষ্ণ মিশন। শিলিগুড়ির মতো নানাভাষী শহরের পড়ুয়া-যুবদের কথা ভেবে হিন্দিভাষী বক্তাদেরও আনছে মিশন। ডাকা হয়েছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদেরও। তাঁদের জন্য ইংরেজিতে বক্তৃতার ব্যবস্থা হবে।
বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এমন ক্লাসের আয়োজন করেছে রামকৃষ্ণ মিশনের জলপাইগুড়ি শাখা। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে এবং ২০ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে পড়ুয়া এবং যুবদের নিয়ে আলোচনা সভা হবে। শিলিগুড়িতে সেবক রোডের একটি ভবনে হাজার জন বসতে পারেন, এমন মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। জলপাইগুড়িতে মিশনের মাঠেই সাতশো পড়ুয়া বসতে পারে এমন পরিকাঠামো তৈরি হবে। মিশনের জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক শিবপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেন “এই সময়ে বিবেকানন্দকে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষত পড়ুয়া এবং যুবদের বিবেকানন্দকে জানতে হবে। সে কারণে সব মাধ্যমের স্কুল পড়ুয়াদের ডাকা হয়েছে। তাদের যাতে শুনতে ভাল লাগে, সে ভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য বেঙ্গালুরু থেকে পেশাদার বক্তাদের নিয়ে আসা হবে।”
বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিবেকানন্দের ছবি, লেখা নিয়ে চর্চা হওয়ায় যুবদের কাছে আরও বেশি করে তাঁর কথা ছড়িয়ে পড়েছে, তা মানছেন মিশনের সঙ্গে জড়িতরাও। তবে এতে নানা ভুল ব্যাখ্যাও চলছে বলে অভিযোগও রয়েছে। মিশনের এক ভক্তের কথায়, “বিবেকানন্দের বাণীকে অসম্পূর্ণ ভাবে অনেক সময় এমন করে লিখে ছড়ানো হয়, যাতে তাঁর বক্তব্য সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে। মিশন যে ভাবে উদ্যোগী হয়েছে, তাতে নতুন প্রজন্মের কাছে এই ভ্রান্তি অন্তত কাটবে।’’
জলপাইগুড়ি মিশনের সম্পাদক নির্দেশ দিয়েছেন, যত সম্ভব নতুন পড়ুয়া এবং যুবদের দু’দিনের ক্লাস তথা ক্যাম্পে আনতে হবে। অর্থাৎ মিশনের সঙ্গে যাদের খুব বেশি যোগাযোগ নেই তাঁদের এই ক্লাসে আসা বেশি জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। শিবপ্রেমানন্দের কথায়, “১১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উৎসব চলবে। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যুবদের ক্লাস। বিবেকানন্দ ভালবাসা, উদারতার কথা বলতেন। সেটা যুবরা না জানলে সমাজের সামনে নানা আশঙ্কা তৈরি হবে।”