পরীক্ষার শেষে ভাঙচুর দুই স্কুলে

প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি হাই স্কুলে কালিয়াচক ২ ব্লকেরই বাঙিটোলা হাই স্কুল, বালুয়াচরা হাই স্কুল ও যুগলতলা হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল। সূত্রে খবর, গোলমালের সূত্রপাত প্রথম দিন থেকেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম দিনই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর মোবাইল উদ্ধার করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

বেপরোয়া: পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের চোখের সামনেই এ ভাবে চলল ঝুঁকির যাতায়াত। বুধবার বালুরঘাটে-তপন রুটে। নিজস্ব চিত্র

অসংখ্য মোবাইল ফোন উদ্ধারের পাশাপাশি পরীক্ষার হলে কড়া নজরদারির ‘প্রতিবাদে’ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের বিরুদ্ধে স্কুলে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। এমনকি শিক্ষকদের দাবি, মারমুখী অভিভাবকদের থেকে রক্ষা পেতে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মরক্ষা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও অন্য শিক্ষকেরাও। এ দিকে একই সময়ে একদল বহিরাগত স্কুলে ঢুকে পাল্টা ওই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মারধর করে বলে অভিযোগ। বুধবার মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষার শেষে দু’পক্ষের ওই গোলমালে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি হাই স্কুলে। কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিরারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ ৬ জন বহিরাগতকে আটক করেছে। স্কুলের তরফে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ হয়েছে। ছাত্রদের পক্ষ থেকেও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি হাই স্কুলে কালিয়াচক ২ ব্লকেরই বাঙিটোলা হাই স্কুল, বালুয়াচরা হাই স্কুল ও যুগলতলা হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল। সূত্রে খবর, গোলমালের সূত্রপাত প্রথম দিন থেকেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম দিনই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর মোবাইল উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার ও এ দিন প্রায় তিনশো মোবাইল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বলে তাঁদের দাবি। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে মঙ্গলবারই তিন স্কুলের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বাদানুবাদ হয়। প্রধান শিক্ষিকা অদিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “থানা ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে জানিয়েছি। এ ভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা হতে হবে ভাবতে পারছি না।’’

এ দিকে বাঙিটোলা হাই স্কুলের অভিভাবক অশোক মণ্ডল, মুর্তজা আলি, হাসিমুদ্দিন শেখদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার হলে ছেলেদের পোশাক খুলে তল্লাশি চালান। নকল ধরার নামে পরীক্ষার্থীদের হেনস্থা করা হয়। এ দিন বহিরাগতদের এনে পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের দাবি, এ সব নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বহিরাগতরা হামলা চালায়। যদিও প্রধান শিক্ষিকা তল্লাশির অভিযোগ অস্বীকার করেন। জেলা পুলিশের ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগ দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিকে নকলে বাধা পেয়ে এ দিন চোপড়া থানা দাসপাড়া হাই স্কুলে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের স্কুল চত্বরের বাইরে বার করে দেয়। ওই স্কুলে সিট পড়েছিল লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের পড়ুয়াদের। এ বছর সেখানে পরীক্ষা দিচ্ছে ৫৬০ জন। প্রধান শিক্ষক কানু কর্মকার বলেন, ‘‘পরীক্ষার পরে শিক্ষকেরা যখন ভিতরে ছিলেন তখন দোতলার উপর দিয়ে কিছু ঢিল ভিতরে পড়েছে। তাঁদের গায়ে না লাগলেও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের আঘাত লাগে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন