গোপালপুরে ধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত

অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল কোচবিহারের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১৪
Share:

ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত অমর। — নিজস্ব চিত্র

অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল কোচবিহারের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে। শনিবার সন্ধে নাগাদ দক্ষিণ গোপালপুর এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত যুবক অবশ্য দাবি করেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধর্ষণের অভিযোগ ঠিক নয়। এমনকি ওই ছাত্রী স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে বেড়াতে যায়। ছাত্রীর পরিবার অবশ্য ওই বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাইনি। তদন্ত করা হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানার গোপালপুর এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে টিউশন যাওয়ার পথে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা এক যুবক। ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আরও একজন তাকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ছাত্রীটিকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিনই ছাত্রীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক বার ওই এলাকায় যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন যে মোটরবাইক ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা অভিযুক্তের এক আত্মীয়ের।

গ্রেফতারের আগে এ দিন অভিযুক্ত যুবক অমর দাস মোবাইল ফোনে বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পরিচিতের বাড়িতে সাইকেল রেখে সে দিন আমরা পাতলাখাওয়ার দিকে বেড়াতে যাই। পরে ওর বাড়ির লোকের কাছে বিষয়টি জেনে অসুস্থ বোধ করছিলাম।” সঙ্গীর নামও বলতে চাননি তিনি। তার কথায়, ‘‘ওর নাম বলতে পারব না। ওর দোষ নেই। রাস্তা চিনতাম না বলে ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম।’’ কিছু দিন পরেই চাকরি সংক্রান্ত পরীক্ষা না থাকলে তিনি ‘পালাতেন না’ বলেও এ দিন দাবি করেছেন।

Advertisement

গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রঞ্জিত অধিকারী বলেন, “তদন্তেই সব স্পষ্ট হবে। প্রকৃত দোষীর শাস্তি হওয়া উচিত।” কংগ্রেসের কোচবিহার ২ ব্লক সভাপতি তরণী কার্জি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে।”

কয়েক দিন আগে মাথাভাঙার বেলেরডাঙা গ্রামে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তাদের একজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্য জন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই জেলায় ফের ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে ঘিরে পুলিশের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। শনিবার অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখান নির্যাতিতার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন