পুজোর ঢাকে কাঠি উল্টোরথে

উল্টোরথে এল আগমনীর বার্তা। দশমী ও একাদশী সংলগ্ন লগ্নে দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো হল আলিপুরদুয়ার দুর্গা বাড়িতে। পুরনো কাঠামোতে খড়ের একটি ছোট আকৃতিকে দেবী রূপে পুজো করা হয় রবিবার সকালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

দুর্গাবাড়িতে শুরু কাঠামো পুজো। —নিজস্ব চিত্র।

উল্টোরথে এল আগমনীর বার্তা।

Advertisement

দশমী ও একাদশী সংলগ্ন লগ্নে দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো হল আলিপুরদুয়ার দুর্গা বাড়িতে। পুরনো কাঠামোতে খড়ের একটি ছোট আকৃতিকে দেবী রূপে পুজো করা হয় রবিবার সকালে।

১১৮ বছর আগে আলিপুরদুয়ারের সওদাগর পট্টি অধুনা বড়বাজার এলাকায় এই পূজার সূচনা হয়। ব্যবসায়ী প্যারীমোহন সাহা, কিশোরী সাহা, রমনীকান্ত মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন মিলে এই পুজো চালু করেছিলেন। সেই সময় আশপাশের চা-বাগান এলাকা, দূর-দূরান্ত থেকে বাসিন্দারা ভিড় জমাতেন। অসম থেকে আসতেন পুরোহিতরা। পরে বড়বাজার এলাকা থেকে সরে আলিপুরদুয়ার হাটখোলা এলাকায় চলে যায় পুজো।

Advertisement

দুর্গা বাড়ির সম্পাদক কমলেশ্বর ভট্টাচার্য বলেন, “বহু বছর ধরে একই কাঠামোতে প্রতিমা তৈরি হয়ে আসছে। আগে ঝুলন পূর্ণিমা বা জন্মাষ্টমী তিথিতে হত কাঠামো পুজো। পরে তা বদলে উল্টোরথযাত্রার দিন করা হয়েছে।’’

পরিবর্তন হয়েছে আরও অনেক কিছুর। উঠে গিয়েছে বলি প্রথা। দুর্গা বাড়ির কাঠের নাটমন্দির চাতাল ভেঙে পাকা চাতাল তৈরি হচ্ছে এই বছর। তবে নিয়ম-নিষ্ঠায় ঘাটতি পড়েনি কখনও। এ দিন সকাল সাড়ে নটায় কাঠামো পুজোয় বসেন দুর্গা বাড়ির প্রধান পুরোহিত নরেশ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকের আওয়াজে গমগম করে ওঠে মন্দির চত্বর। লাল জবা, সাদা ফুল, চন্দন, তেল-সিদুঁর ও মন্ত্র উচ্চারণে নিখুঁত সঙ্গত।

দুর্গাবাড়ি মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রতিমাকে শাড়ি থেকে শুরু করে সোনার অলঙ্কার দান করেন বহু মানুষ। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ভোগ বিতরণ হয়। অষ্টমীর দিনে অঞ্জলি দিতে দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমান লোকজন। প্রতিমাকে বেনারসি শাড়ি থেকে সোনার অলঙ্কার পরানো হয় সেই সময়।

প্রতিমার কারিগর গোপাল পাল বলেন, “প্রায় ১৬ ফুট উচ্চতার মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরি হবে প্রথা মেনে। স্থায়ী মন্দিরে চলবে প্রতিমা গড়ার কাজ। মায়ের জন্য কলকাতা থেকে আনা হবে বেনারসি শাড়ি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement