নিয়োগ-শুনানি হয়তো আজ

বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে জেলা প্রশাসনের পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি এক দিন পিছিয়ে গেল। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, এ দিন হাইকোর্টে মামলাটি ওঠেনি বলে জানা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৪:৩৫
Share:

বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে জেলা প্রশাসনের পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি এক দিন পিছিয়ে গেল। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, এ দিন হাইকোর্টে মামলাটি ওঠেনি বলে জানা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জিটিএ-এর এক সদস্যের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি খেলাপ করে পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া জেলা প্রশাসন শুরু করেছে। চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষা জিটিএ-এর আওতাভুক্ত হওয়ায় জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য সরকার পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করতে পারে না বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।

জিটিএ-এর সদস্য পেম্বা শেরিং ওলা গত ২০ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এ দিন ওলা বলেন, “অনিবার্য কারণে এ দিন মামলাটির শুনানি হয়নি। আজ মামলাটির শুনানি হতে পারে।”

Advertisement

পাহাড়ের তিন মহকুমার ৪৬টি স্কুলে লেপচা ভাষার জন্য পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলতি মাসেই শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। গত ১৭ মার্চ পাহাড়ের তিন মহকুমায় পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেয় জেলা প্রশাসন। সে সময়েই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে আপত্তি তোলা হয়। জিটিএ-এর এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়ে কিছুতেই জেলা প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে মোর্চার দাবি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও ফল না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলে মোর্চা জানিয়েছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১০ এপ্রিল দার্জিলিঙে ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটও ডেকেছে মোর্চা। যদিও, হাইকোর্টের রায় অনুকুলে গেলে বন্ধ প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে মোর্চা সূত্রের খবর।

এর আগেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করেছিল মোর্চা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর জিটিএ-এর সঙ্গে আলোচনা না করেই পাহাড়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করা এবং অনগ্রসর কল্যান দফতরের বরাদ্দ সরাসরি জেলাশাসককে বরাদ্দ করায় জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। চুক্তি অনুযায়ী অনগ্রসর কল্যাণ দফতর এবং গ্রামীন এলাকা উন্নয়ন দফতর জিটিএ-এর আওতায় থাকায়, রাস্তা তৈরি ও অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের বারদ্দ দুই কাজই তাদের এড়িয়ে সম্ভব নয় বলে জিটিএ-র তরফে অভিযোগ করা হয়। দু’ক্ষেত্রেই হাইকোর্ট কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। তবে মামলা দু’টি এখনও চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন