ফুটবল ম্যাচে রেফারিকে ঘুঁষি মারার অভিযোগ সত্ত্বেও কেন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানো হয়নি, সেই প্রশ্নে রেফারি সংগঠন এবং মহকুমা ক্রীড়া পর্ষদকে চিঠি দিল আঠারোখাই সরোজিনী সঙ্ঘ। ওই রেফারি রামকৃষ্ণ ব্যায়াম শিক্ষা সঙ্ঘের প্রতি পক্ষপাতিত্ত্ব করছিলেন বলে তাঁদের অভিযোগ। শিলিগুড়ি রেফারি অ্যান্ড আম্প্যায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পরিমল ভৌমিক বলেন, ‘‘আমরা আগামী রবিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছি। সেখানে আলোচনার পরেই যা জানানোর জানাব।’’
সরোজিনী সঙ্ঘের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ৬ ডিসেম্বর নৈশ ফুটবলের ফাইনালে তাঁদের পক্ষে দেওয়া ফাউলকে কেন্দ্র করে রেফারিকে ঘুঁষি মারেন রামকৃষ্ণের ফুটবলার সুমিত ঘোষ। রেফারি লালকার্ড দেখাতে গেলে থাবড়া মেরে ফেলে দেন। তার পরেও রেফারি কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় তাঁরা হতবাক। তা নিয়ে মাঠেই প্রতিবাদ করেন সকলে। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের অনুরোধে তার পরেও শেষ পর্যন্ত খেলে সরোজিনী দল। অথচ ওই রেফারি শেষ পর্যন্ত অসহযোগিতা করে গিয়েছেন বলে প্রতিবাদে তারা রানার্স ট্রফি প্রত্যাখ্যান করে নেননি।
ওই রেফারি বিপ্লব বারুই এ দিন বলেন, ‘‘২০ বছর রেফারি করছি। গড়াপেটার প্রশ্নই নেই। তবে ওই দিন আমাকে ঘুঁষি মারা হয়। ওই ফুটবলারকে লালকার্ড দেখাতে গেলে তা থাবড়ে ফেলে দেওয়া হয়। গোলমালে অপর দলের ফুটবলাররাও কেউ কেউ গায়ে হাত দিয়েছে। তারা কারা ওই পরিস্থিতিতে চিহ্নিত করা যায়নি। গোলমালে খেলাটা যাতে আটকে না যায়, সে কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি লাল কার্ড দেখালে তা নিয়ে গোলমালে খেলাই হত না।’’
সরোজিনী সঙ্ঘের কর্মকর্তাদের দাবি, কোনও ফুটবলার মাঠে যদি রেফারিকে মারে এবং লাল কার্ড দেখালে খেলা বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে তিনি যদি ব্যবস্থা না নেন সেটা অযৌক্তিক ও সন্দেহজনক। সরোজিনী সঙ্ঘের সম্পাদক দীপ্তেন্দু ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঘটনা কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছি। মহকুমা ক্রীড়া পর্ষদকেও জানিয়েছি। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সদর্থক ব্যবস্থা নিলে আমরা রানার্স ট্রফি নেওয়ার কথাও ভাবতে পারি।’’ ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষের কথায়, ‘‘কর্মসমিতির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হবে।’’