ভাঙনে বিধায়কের বাড়িও

গঙ্গার গ্রাসে বাড়ির একাংশ শুক্রবারই নদীতে বিলীন হয়েছিল. অবশিষ্ট অংশের ইট-কাঠ ও আসবাবপত্র শনিবার থেকে সরানো শুরু হয়. এদিনও বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে খোদ বিধায়কও সেই কাজে হাত লাগান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৬ ০২:১২
Share:

ত্রাণ শিবির। —নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার গ্রাসে বাড়ির একাংশ শুক্রবারই নদীতে বিলীন হয়েছিল. অবশিষ্ট অংশের ইট-কাঠ ও আসবাবপত্র শনিবার থেকে সরানো শুরু হয়. এদিনও বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে খোদ বিধায়কও সেই কাজে হাত লাগান। বাড়ি বলতে এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ। গঙ্গা ভাঙনে এভাবেই জেরবার হয়ে বৈষ্ণবনগরের নব নির্বাচিত বিজেপির বিধায়ক স্বাধীন সরকার শেষ পর্যন্ত শনিবার দুপুরে আশ্রয় নিলেন চামাগ্রামে বন্ধুর বাড়িতে। বিধায়ক কার্যত মুষড়ে পরেছেন। তাঁর খেদোক্তি, ‘‘আমি মানুষের ভোটে বিধায়ক হয়েছি। কিন্তু আমি বড়ই হতভাগ্য যে নিজের বাড়ি তো বটেই গ্রামেরও অসংখ্য বাসিন্দার ঘরবাড়ি গঙ্গার গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পারলাম না। আমাকেও বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’’

Advertisement

বাড়িঘর হারিয়ে হতাশায় ডুবে গিয়েছেন বীরনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারটোলা ও চিনাবাজারের আরও শতাধিক পরিবারও। তাঁরা কেউ বীরনগর হাই স্কুলে চলা ত্রাণ শিবিরে বা কেউ পাশের বিভিন্ন গ্রামে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন. ত্রাণ শিবিরে থাকা এমনই এক মহিলা সমিতা মণ্ডল বলেন, ‘কিছুই বাঁচাতে পারিনি। ত্রাণ শিবির বন্ধ হয়ে গেলে কোথায় যে যাব তা ভেবেই পাচ্ছি না।’’ জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী এদিনও বলেন, ভাঙনে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য জমি দেখা হচ্ছে. তাদের নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে সেই জমিতেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন