আদিনা ডিয়ার পার্কে হরিণেরা। — নিজস্ব চিত্র
সাকুল্যে ৪৬টি হরিণ। আর একটিমাত্র নীলগাই। মালদহের আদিনা ডিয়ার পার্কের সম্পদ বলতে এটুকুই। কম জীব বৈচিত্র্য এবং পরিকাঠামোর অভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ হারাতে বসেছে এই পার্ক।
এই পরিস্থিতিতে ওই পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করেছে বন দফতর। একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করে জীব বৈচিত্র্য বাড়ানোর পাশাপাশি, সেখানে একটি মিশ্র প্রজাতির পাখিরালয় ও প্রজাপতি পার্ক তৈরি করতে ওয়েস্টবেঙ্গল জু অথরিটির কাছেও প্রস্তাব পাঠিয়েছে মালদহ জেলা বন দফতর। সেটি অনুমোদিত হওয়ায় মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
মালদহ জেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে গাজোল ব্লকে ১৬৭ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে আদিনা ডিয়ার পার্ক। জেলার একমাত্র জঙ্গল এটি। ৬৩ হেক্টর জমিতে ফেন্সিংয়ের ভেতরে রয়েছে হরিণ। কয়েকমাস আগেও এখানে ৯০টি হরিণ ছিল। শিলিগুড়ির কাছে বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্য ৫৪টি হরিণকে এখান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জ থেকে নীলগাই উদ্ধার করে এখানে এনে রাখা হয়েছিল। চারটি নীলগাইকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায়।
আদিনা ডিয়ার পার্কে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা জানান, বেশ বড় জঙ্গল থাকলেও সাফারির কোনও ব্যবস্থা নেই। হরিণগুলি যে জায়গায় রয়েছে তা পার্কে ঢোকার মূল গেট থেকে অনেকটাই দূরে। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে না এলে হেঁটে যাওয়ার সমস্যা হয় বলে জানান তাঁরা। ওই সমস্যা দূর করতে কয়েকটি টোটোর ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন তাঁরা। ওই এলাকায় ১১টি বড় জলাশয় রয়েছে। কিন্তু বোটিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকেরা সেই দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
মালদহের ডিএফও কৌশিক সরকার বলেন, ‘‘মাস্টার প্ল্যানটি পাশ হয়ে গেলে পার্কটিকে ঢেলে সাজা হবে।’’ এ ছাড়া পার্কে থাকা হরিণগুলির খাদ্যের যোগানের জন্য ৩ হেক্টর এলাকায় ঢাড্ডা ও চেপটি এবং নেপিয়ার প্রজাতির ঘাস চাষ করা হবে বলে তিনি জানান।