গড় দখলে নতুন মুখ চায় তৃণমূল

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় রদবদল হতে চলেছে তৃণমূলের মালদহ নেতৃত্বে। নতুন করে গড়া হচ্ছে জেলার ব্লক কমিটিগুলো। আর সেই কমিটিতে স্থান পেতে চলেছেন তৃণমূলের একঝাঁক নতুন মুখ। তবে শুধুই নতুন নয়, বেশ কিছু ব্লকে আবার অভিজ্ঞদের উপরেই আস্থা রাখছে দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০২
Share:

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় রদবদল হতে চলেছে তৃণমূলের মালদহ নেতৃত্বে। নতুন করে গড়া হচ্ছে জেলার ব্লক কমিটিগুলো। আর সেই কমিটিতে স্থান পেতে চলেছেন তৃণমূলের একঝাঁক নতুন মুখ। তবে শুধুই নতুন নয়, বেশ কিছু ব্লকে আবার অভিজ্ঞদের উপরেই আস্থা রাখছে দল। আজ, বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই নয়া ব্লক কমিটি নেতাদের নাম ঘোষণা হবে।

Advertisement

মালদহের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহুচর্চিত। এই জেলায় নেতানেত্রীদের মধ্যে মন কষাকষি কিছুতেই কমে না। তাই একেবারেই নতুন মুখ চান রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের জেলার শীর্ষ নেতৃত্বর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্লক কমিটিতে রদবদল হওয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। তাঁদের কথায়, প্রতিষ্ঠা দিবস পালনকে ঘিরেই সেই ইঙ্গিত দেখা গিয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠদের যদিও বক্তব্য, নতুনরা সকলকে নিয়ে চলতে পারবেন। আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনও। তিনি বলেন, “নতুন, পুরোনো সকলকে নিয়ে চলতে হবে। কারণ, এবারে আমাদের লক্ষ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য পাওয়া।”

মালদহ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অজানা নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার তৃণমূলের জেলার নেতাদের ধমক দিয়েছেন। তারপরেও টনক নড়েনি জেলার নেতা নেত্রীদের। তারই জেরে জেলার অধিকাংশ ব্লক কমিটিতেই রদবদল হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

দলেরই অন্দরের খবর, মানিকচকে ব্লক সভাপতি করা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রকে। আর কালিয়াচকে প্রাক্তন বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরীকে (লেবু)। গাজলে বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসকে দলের ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

মানিকচকে সাবিত্রী দেবীর নাম উঠতেই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। ওই ব্লকের সভাপতির দৌড়ে ছিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জারিনা খাতুন। তবে দল ভরসা রেখেছে সাবিত্রীদেবীর উপরেই। যদিও সাবিত্রীদেবীকে ব্লকের দায়িত্ব দেওয়ায় অনেকে সমালোচনাও করেছেন। তাঁদের কথায় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতিকে ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া মানে ক্ষমতা খর্ব করা হল। যদিও তা মানতে নারাজ সাবিত্রীদেবীর অনুগামীরা। এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ সাবিত্রীদেবীও।

এ দিকে, হবিবপুর ব্লকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরী, বামনগোলায় অমল কিস্কুকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হবিবপুরে দীর্ঘদিন ধরেই ব্লক সভাপতি ছিলেন উজ্জ্বল মিশ্র। ফলে সেখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, “কমিটি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হবে না। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন