পুরসভা সময় চেয়েও শহরের আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাই অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা পুরুষ দলবদ্ধ ভাবে এলাকায় পুরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি ফিরিয়ে দেন। এর ফলে শহরের নিত্য দিনের জমা আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে তৈরি হল অনিশ্চয়তা।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুর কর্তৃপক্ষ কালজানি নদীর পাড়ে আলিপুরদুয়ার শহরের আবর্জনা ফেলত। সেই আবর্জনা নদীর জলে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন পরিবেশবিদরা। পরে প্রায় এক মাস শহরে ময়লা তোলা বন্ধ রাখে পুরসভা। ২০১২ সালে সর্বদল বৈঠকে ঠিক হয় শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অস্থায়ী ভাবে ময়লা ফেলা হবে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অস্থায়ী ভাবে ময়লা ফেলার কথা থাকলেও নিয়মিত এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। ফলে জনবসতি এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে বাসিন্দারা এলাকায় ময়লা ফেলতে বাধা দিলে পুরসভার চেয়ারম্যান ৩ মাসের সময় চেয়ে নেন। সেই মেয়াদ ২৮ ফ্রেবুয়ারি শেষ হওয়ায় ২৯ ফ্রেবুয়ারি থেকে এলাকায় ময়লা ফেলা বন্ধ করে দিল বাসিন্দারা।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, “বাসিন্দারা বাধা দিলে ময়লা ফেলা যাবে না। আমারা অন্যত্র জায়গা দেখছিলাম। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা শহরের আবর্জনা তোলা বন্ধ রাখব। বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছি। এর মধ্যে রাজনীতি করছে বিরোধীরা।”
স্থানীয় বাসিন্দা সাধনা কর্মকার, গৌরী রায়, মিঠু বিশ্বাস, লক্ষ্মণ পালরা জানান, এলাকায় দুর্গন্ধে থাকা যায় না। বাড়িগুলোতে মশা মাছির উপদ্রবে সারা দিন দরজা জানলা বন্ধ করে রাখতে হয়। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদ করছি জনবসতি এলাকায় এভাবে ময়লা যাতে না ফেলা হয়। নভেম্বরে আমরা ময়লা ফেলতে বাধা দিই পুরসভাকে। সেই সময় চেয়ারম্যান আমাদের লিখিত ভাবে তিন মাসের সময় চান। তার মেয়াদও শেষ হয়েছে। পুরসভা স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা করুক। এলাকার সিপিএম নেতা জয়ন্ত সাহা বলেন, “দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে ময়লা ফেলা বন্ধ রেখেছেন বাসিন্দারা। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’