অজানা পায়ের ছাপে আতঙ্ক

এ দিন আলিপুরদুয়ারেও খাঁচাবন্দি হয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০৫:০৪
Share:

চিহ্ন: এমন ছাপ দেখেই আতঙ্ক ছড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

এতদিন ছিল জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়, এ বার খাস জনপদে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়নাগুড়ির সিনেমাহল লাগোয়া রাহুত কলোনি এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার একটি বাড়ির উঠোনে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ বলেই মনে করেছেন। তারপর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বন দফতর খাঁচা পেতেছে। বাসিন্দাদের হাতে পটকাও দিয়েছেন বনকর্মীরা। এ দিন রাত পর্যন্ত অবশ্য এলাকায় কোনও চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে খবর মেলেনি।

বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি শহরের রাহুত কলোনির কালীপুজোর মণ্ডপের উঠোনে কোনও জন্তুর একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পান এক মহিলা। এর পর তিনি এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের এ বিষয়ে জানালে তাঁরাও তাদের বাড়ির আশপাশে একই ছাপ দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। অনেকে এই পায়ের ছাপ চিতাবাঘের বলে মনে করেছেন। এর পর এলাকার লোকজন বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের রামসাই মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মীরা এলাকায় আসেন। তাঁরা এলাকাতে নজরদারিও চালাচ্ছেন।

Advertisement

সম্প্রতি ময়নাগুড়ির ব্যাঙকাঁদি এলাকাতেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বন দফতরের পাতা খাঁচায় একটি চিতাবাঘ ধরাও পড়ে। তারপরেও এলাকায় আরও তিনটি চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। সেখানেও চিতাবাঘ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক রয়েছে। রাতের বেলায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে এলাকা। সেই আতঙ্ক মিটতে না মিটতেই এ বার ঘন জনবসতির ময়নাগুড়িতেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার এক পাশে জর্দা নদী রয়েছে। পায়ের ছাপ চিতাবাঘের হয়ে থাকলে সেটি কোথা থেকে এল তাও দেখছে বন দফতর।

এ দিন আলিপুরদুয়ারেও খাঁচাবন্দি হয়েছে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ৷ বন দফতর সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন থেকেই কালচিনির সুভাষিনী চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক দেখা ছড়িয়েছিল৷ বন দফতরের তরফে ওই বাগানের ৩১ নম্বর সেকশনে একটি খাঁচা পাতে বন দফতর৷ বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাতেই ওই চিতাবাঘটি ধরা পড়ে৷

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন