North Bengal University

ইস্তফা গৃহীত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের

শুক্রবার তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মেল করে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বার পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্য কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

সৌমিত্র কুন্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ‘ডামাডোল’ চলছেই। উত্তরবঙ্গের দুই বিশ্ববিদ্যালয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও উপাচার্য নেই। এই পরিস্থিতির মধ্যে উপাচার্যহীন হল আরও একটি— উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৪ এপ্রিল অস্থায়ী উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তা গ্রহণ না করে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আচার্য তা গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মেল করে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বার পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্য কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘উপাচার্যের ইস্তফাপত্র আচার্য গ্রহণ করেছেন। তা শুক্রবার রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তেমনই উপাচার্যকে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে যে মেল পাঠানো হয়েছে আচার্যের দফতর থেকে, সেটিও সিএম রবীন্দ্রন রেজিস্ট্রারের দফতরে পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। সিএম রবীন্দ্রনের
সঙ্গে বহু চেষ্টাতেও এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন আচার্য। রাজ্য তাকে পুনর্বহাল করলেও আচার্য মেনে নেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো তালিকা থেকে আচার্য ছ’জন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মধ্যে গৌড়বঙ্গ এবং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। তবে নতুন উপাচার্য নিয়োগের এখনও নির্দেশিকা মেলেনি।

Advertisement

‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অর্ধেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় যাতে অভিভাবকহীন না থাকে, তাই দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। আচার্যের কাছে সে আবেদনই রইল।’’ টিএমসিপি রিসার্চ স্কলার সেলের সভাপতি অয়ন মোহান্তি বলেন, ‘‘এই উপাচার্য এলেন, আবার চলেও গেলেন। কেন তিনি এসেছিলেন তা রহস্যই রয়ে গেল। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী উপাচার্য করা দরকার। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিই হবে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত রায় বলেন, ‘‘আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন