দুর্ঘটনার জের

জাতীয় সড়কে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি

যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাকের নিত্য আনাগোনা এই রাস্তায়। অথচ দুর্ঘটনার পর একটি বড় ট্রাক রাস্তার অধের্কেরও বেশি অংশ জুড়ে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় পড়ে রইল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকটিকে দ্রুত সরাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার দুপুরে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যাতায়াতের রাস্তা ৩১ ডি জাতীয় সড়কে তালমাহাটে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হলেন যাত্রীরা।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৫ ০১:২৪
Share:

যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাকের নিত্য আনাগোনা এই রাস্তায়। অথচ দুর্ঘটনার পর একটি বড় ট্রাক রাস্তার অধের্কেরও বেশি অংশ জুড়ে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় পড়ে রইল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকটিকে দ্রুত সরাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার দুপুরে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি যাতায়াতের রাস্তা ৩১ ডি জাতীয় সড়কে তালমাহাটে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হলেন যাত্রীরা। এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ তালমাহাটের মোড় এবং তার দুই দিকে রাস্তার বাঁকে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য তালমাহাট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের দাবিও উঠেছে বারবার। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা দু’টো নাগাদ জলপাইগুড়িগামী একটি ছোটগাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বেলা দুটো নাগাদ ওই ঘটনা ঘটলেও চারটে পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকটিকে পুলিশ সরাতে পারেনি। তাতে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দু’ ঘন্টারও পরে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়া ট্রাকটিকে সরালেও যান চলাচল স্বভাবিক হতে পাঁচটা বেজে যায়। জলপাইগুড়ি থানার আইসি আশিস রায় জানান, ‘‘যানজট হয়েছে বলে খবর পাইনি। দুর্ঘটনার পর রাজগঞ্জ থানার আধিকারিক নিজেই সেখানে গিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।’’

রাজগঞ্জ থানার ওসি সনাতন সরকার জানান, ওই জায়গা জলপাইগুড়ি সদর থানার অধীন। তবে রাজগঞ্জ থানা কাছে বলে সমস্যা হলে তাঁরাই দেখে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা গিয়ে ট্রাকটিকে সরিয়ে দিয়েছি। যানচলাচলে যাতে সমস্যা না হয় পুলিশ পৌঁছনোর পর তা দেখেছে।’’ বাস্তবে, পুলিশ দুই ঘন্টা ধরে হাত গুটিয়ে ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

ওই রাস্তায় জলপাইগুড়ি থেকে নকশালবাড়ি যাচ্ছিলেন প্রীতম কার্জি। যানজটের জেরে ঘন্টাখানেক রাস্তায় গাড়িতে বাসে থাকতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতেই সমস্যা হয়। কিছু পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখেছি। অথচ গাড়িটি সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ যানজটে আটকে বিরক্ত বাসের চালক, কন্ডাক্টররাও। বাস কনডাক্টর অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘অন্য সময় পুলিশকে খুব তৎপর দেখায়। অথচ কাজের সময় তাদের দেখা মেলে না। এই রাস্তায় ১০ মিনিট গাড়ি আটকে থাকলে জ্যাম হয়ে যায়। পুলিশের সেটা ভাবা উচিত ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন