পচা: রেস্তরাঁ থেকে মিলল পচা মাংস। নিজস্ব চিত্র
মাংসে জন্মেছে ছত্রাক। কালো হয়ে গিয়েছে গলদা চিংড়ি। ইলিশ মাছে পচা দুর্গন্ধ।
মঙ্গলবার বিকেলে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের নামী কেটারার সংস্থার রেস্তরাঁয় অভিযান গিয়ে মাছ, মাংসের এমন অবস্থা দেখে চোখ কপালে ওঠে পুরসভা কর্তৃপক্ষের। রেস্তরাঁ থেকে বাজেয়াপ্ত করে প্রচুর পচা মাছ ও মাংস। ঘটনায় ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এমনকী, জেলা শাসক ও স্বাস্থ্য দফতরেও চিঠি দেওয়া হয়। নামী কেটারার সংস্থা থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত মাছ, মাংস উদ্ধারের ঘটনায় হইচই পড়ে যায় শহর জুড়ে।
এ দিনের অভিযানের পরে কেটারার সংস্থাগুলোকে পৃথক লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, “শহরের বেশ কিছু ক্যাটারার সংস্থা রয়েছে। যারা বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করে থাকে। সেই সব সংস্থাকে লাইসেন্স দেওয়া হবে। যাতে যে কেউ কেটারার সংস্থা খুলে মানুষকে প্রতারণা করতে না পারেন।”
একই সঙ্গে এ দিনের বাজেয়াপ্ত হওয়া পচা মাছ, মাংসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ইংরেজবাজার শহরের গৌড় রোড এলাকায় রয়েছে ওই কেটারার সংস্থা। শহরের বাঁধ রোড এলাকায় টাউন হলের কাছে সেই সংস্থারই একটি রেস্তরাঁ রয়েছে। এ দিন বিকেলে ওই রেস্তরাঁয় পুরপ্রধান নীহাররঞ্জনবাবু আধিকারিকদের নিয়ে অভিযান চালান। রেস্তরাঁর ফ্রিজ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১৫ কিলো খাসির মাংস। এ ছাড়া প্রায় দশ কিলো ইলিশ মাছ, গলদা চিংড়িও বাজেয়াপ্ত করে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, “ফ্রিজ থেকে মাংস হাত দিয়ে বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। লোহার রড দিয়ে ভেঙে মাংসগুলো বের করতে হয়।”
জানা গিয়েছে, ওই কেটারার সংস্থা বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে রান্না করে খাবার সরবরাহ করে। এ ছাড়া তাঁদের একাধিক রেস্তরাঁও রয়েছে। অভিযোগ, নামী সংস্থা হওয়ার দরুন সেই সব রেস্তরাঁগুলোয় ভিড় জমান শহরবাসী।
তবে সম্প্রতি খাবারের মান নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। অভিযোগ, ওই সংস্থা পচা মাছ, মাংস রান্না করে সরবরাহ করে। এমনকী, মাসের পর মাস ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়া থাকে মাছ, মাংস। তাই এ দিন অভিযোগ পেয়েই অভিযানে যান পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সংস্থার মালিক স্বপন ঝা বলেন, “দু’একদিনের মাছ, মাংস ছিল। এদিন পুরসভার কর্তৃপক্ষেরা আসেন। আমরা তাঁদের সহযোগিতা করেছি।”