—প্রতীকী চিত্র।
গত তিন মাস ধরে বিজেপির সঙ্গে সংস্রব বাড়িয়েছিলেন তিনি। নিজের দল আরএসপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। শোনা যাচ্ছিল আরএসপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কুমারগ্রামের আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওরাঁও। সেই সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় মনোজবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে দল থেকে ঝেড়ে ফেলল আরএসপি।
রবিবার মনোজবাবুকে বহিষ্কার করা হয় আরএসপি থেকে। শনিবার আরএসপির আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির কার্যকরী কমিটি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মনোজবাবুকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে আরএসপির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক বলেন, “মনোজ দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। দলের কর্মসূচিতে তিনি সামিল হতেন না। আমরা খবর পেয়েছি বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় বৈঠক করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কুমারগ্রামের জোনাল কমিটি উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে জেলায় রিপোর্ট পাঠিয়ে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। জোনাল কমিটির তথ্য প্রমাণে সত্যতা পেয়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সেই রিপোর্ট রাজ্য কমিটিকে পাঠাচ্ছি।’’ এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি করে সুনীলবাবু বলেন, ‘‘মনোজ দলে থাকায় বরং দলের ক্ষতি হচ্ছিল।’’ আরএসপির পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হলেও রাজনৈতিক মহলের মতে মনোজ বাবুর এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তাই তিনি বিজেপিতে গেলে বিজেপি লাভবান হবে।
এ দিকে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন আরএসপি দলের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওরাঁও। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা বলেন, “১৩ নভেম্বর মনোজ ওরাঁও তাঁর দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নেবেন। এ দিকে মনোজবাবু বলেন, “১৩ অগস্ট কামাখ্যাগুড়িতে জনসভায় আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা গ্রহণ করব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে বিজেপি ছাড়া কোনও পথ নেই। তাই সকলকে বিজেপির পতাকার নীচে সামিল হতে হবে।’’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিধান সভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে আরএসপি দল থেকে বিধায়ক হন মনোজ ওরাঁও। তবে ২০১৫ সনের বিধানসভা নির্বাচনে জেমস কুজুরের কাছে পরাজিত হন তিনি।