লেবার রুমে ট্রলি থেকে পড়ে এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। চিকিত্সক, নার্স ও আয়াদের গাফিলতিতেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল সুপারের দফতরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান। ওই আন্দোলনে সামিল হন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অন্যান্য রোগীর পরিজনরাও। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহু চেষ্টা করেও সেই আন্দোলন তুলতে ব্যর্থ হন। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালের সুপার প্রকাশ্যে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সুপার গৌতম মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, প্রসবের পর ওই সদ্যোজাত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মারা গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তবুও মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, হেমতাবাদ থানার কালিতলার বাসিন্দা ২৩ বছরের গৃহবধূ নারায়ণী রাজবংশীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় সোমবার সকালে তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। নারায়ণীর স্বামী সুকুমার রায় হেমতাবাদে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ, এ দিন ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ প্রসবের জন্য তাঁর স্ত্রীকে লেবাররুমে নিয়ে যাওয়া হয়। দেড়ঘণ্টা পর লেবাররুমের আয়ারা তাঁদের জানান, নারায়ণীর একটি পুত্রসন্তান হয়েছে। সুকুমারবাবুর বৌদি সীতা রাজবংশী শিশুটিকে দেখেও আসেন। সকাল ৯টা নাগাদ নারায়ণীকে লেবার রুম থেকে বার করার পর নার্স ও আয়ারা তাঁদের জানান শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। এরপরেই তাঁরা দেখতে পান মৃত শিশুর মাথার পিছনে আঘাত লেগে ফুলে রয়েছে। সুকুমারবাবুর দাবি, ‘‘স্ত্রী ও লেবার রুমের এক আয়ার কাছ থেকে পরে জানতে পারি কারও হাত লেগে ট্রলি থেকে মেঝেতে পড়ে গিয়ে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।’’