—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কটূক্তির প্রতিবাদ করায় পড়শিদের সঙ্গে বিবাদে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম একই পরিবারের তিন জন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মালিওর ২ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ তালশুঁড়ের কাশ্মীরটোলায়। তাঁদের প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল ও পরে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ তালশুঁড়ের কাশ্মীরটোলা গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি রয়েছে এক পক্ষের আব্দুল আলিম, আলাউদ্দিন শেখ ও অপর পক্ষের সরিফ আলি, মহম্মদ শুকুরুদ্দিনদের। মঙ্গলবার বিকেলে আলাউদ্দিনের ১৩ বছরের ছেলে আকমল হোসেন মাঠে ধান দেখতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে আকমলকে শুনিয়ে তাঁর মা ও ঠাকুমার নামে অশালীন কথা বলেন সরিফ। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে মাকে তা জানায় কিশোর। এর পরে রাতে আলাউদ্দিনের পরিবারের কয়েক জন সরিফের বাড়িতে গিয়ে ওই কটূক্তির প্রতিবাদ করে। সে সময়ই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। হাতাহাতির পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, সরিফদের পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন দুই ভাই —আব্দুল আলিম ও আলাউদ্দিন শেখ ও আলাউদ্দিনের মেয়ে মানুয়ারা খাতুন।
এ দিন জখম আব্দুল আলিমের স্ত্রী সতিফুন্নেশা বলেন, ‘‘কটূক্তির প্রতিবাদ করতে গেলে সরিফেরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে আমার স্বামী, ভাসুর ও ভাসুরের মেয়েকে গুরুতর জখম করেছে। আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’ পাল্টা সরিফ বলেছেন, ‘‘কটূক্তির ঘটনা ঘটেনি। ওদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছে। এ দিন এসে গালিগালাজ করছিল ওরা। প্রতিবাদ করতে গেলে মারামারি হয়েছে।’’ এ দিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এক মহিলাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলা ওই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত নজরুলের স্ত্রী সায়েরা বিবি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে