SFI

পুলিশ হেফাজতে সুকৃতী

দাড়িভিটে গুলিতে দুই ছাত্রের ছাত্র নিয়ে গত ২৪ অগস্ট শিলিগুড়ি শহরে বামেদের মিছিল চলার সময় কুশপুতুল পোড়ানো নিয়ে গোলমালের সময় ওই অভিযোগ ওঠে সুকৃতীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে সুকৃতী দাবি করেন, তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

হেফাজতে: শিলিগুড়ি আদালতে যাওয়ার পথে সুকৃতী। নিজস্ব চিত্র

এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্যা সুকৃতী আশকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করল শিলিগুড়ি আদালত। পুলিশের গায়ে তেল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। বুধবার হাওড়ায় কাকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সুকৃতী সহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরকারি আধিকারিকদের কাজে বাধাদানের জন্য আক্রমণ এবং খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

দাড়িভিটে গুলিতে দুই ছাত্রের ছাত্র নিয়ে গত ২৪ অগস্ট শিলিগুড়ি শহরে বামেদের মিছিল চলার সময় কুশপুতুল পোড়ানো নিয়ে গোলমালের সময় ওই অভিযোগ ওঠে সুকৃতীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে সুকৃতী দাবি করেন, তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ফাঁসানো হয়েছে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে পুলিশ দুষ্কৃতী এবং শাসক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সেলাম করে, তারাই ছাত্র মারে, গ্রেফতার করে! শিলিগুড়ির ছাত্রীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিহিংসার মনোভাব ফের স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর এত ভয়?’’ সুকৃতীর গ্রেফতারি ও পুলিশ হেফাজতের ঘটনায় আজ, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে এসএফআই।

এ দিন সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বসুনিয়া আদালতকে জানান, মিছিলে চার পুলিশ অফিসারের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। তারপর আত্মগোপন করেন। ঘটনার সময় এলাকা থেকে যোগাড় করা ভিডিয়ো ফুটেজে তাঁকেই এই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। যদিও সুকৃতীর আইনজীবী পার্থ চৌধুরী সওয়াল করেন, কুশপুতুলের উপর তেল ঢালতে গিয়ে তা পুলিশকর্মীদের গায়ে ছিটকে পড়েছে। পুলিশকর্মীদের গায়ে তেল ছেটানোর উদ্দেশ্য তাঁদের কারওই ছিল না। সুকৃতী আগাম জামিনের আবেদন করতে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি উঠেছিলেন। আত্মগোপন করেননি।

Advertisement

দু’পক্ষের সওয়াল শুনে সুকৃতীকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন এসিজেএম বিচারক সুজিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুকৃতী দাবি করেন, তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ফাঁসানো হয়েছে। পুজোর সময় পুলিশি হেফাজতের নির্দেশে ভেঙে পড়েছে সুকৃতীর পরিবার। এদিন আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন তাঁর দিদি প্রকৃতি। তিনি বলেন, ‘‘আমার বোনকে পুজোর সময়ও ছাড়া হল না। বাড়িতে মা অসুস্থ। খুবই কষ্টের মধ্যে পড়তে হল।’’

হাওড়ায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে যে ভাবে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে, তাতে তাদের ‘প্রতিহিংসা’ই বোঝা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ও রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমানও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন