ফের শ্যুটিংয়ে মজল মালবাজার

রবিবাসরীয় সকালে মালবাজারের সুভাষ মোড় এলাকাতে জমাটি শ্যুটিং এর আসর আবার দেখতে পেলেন মালবাজারের মানুষ। উঠতি তারকা বনি, নায়িকা কৌশানিদের নিয়ে সুভাষ মোড় এলাকাতেই খুনের দৃশ্যের শ্যুট করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪
Share:

শুটিং চলছে। — নিজস্ব চিত্র

রবিবাসরীয় সকালে মালবাজারের সুভাষ মোড় এলাকাতে জমাটি শ্যুটিং এর আসর আবার দেখতে পেলেন মালবাজারের মানুষ। উঠতি তারকা বনি, নায়িকা কৌশানিদের নিয়ে সুভাষ মোড় এলাকাতেই খুনের দৃশ্যের শ্যুট করা হয়।

Advertisement

সিনেমাটির নাম আই লাভ ইউ ২। পরিচালক রাজীব। সিনেমাটির শ্যুটিং কালিম্পঙ এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামের লোকেশনে গত দু’সপ্তাহ ধরে চলেছে। এ বারে ডুয়ার্সের মালবাজারে দু’দিনের জন্যে ইউনিটের সকলে হাজির হয়েছেন।

সম্প্রতি অরিন্দম শীল পরিচালিত ব্যোমকেশ পর্ব সিনেমায় লাটাগুড়ির নেতাজি সংঘ ক্লাবের দুর্গাপুজোকে ঘিরে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের তরজা শুরু হয়। পরিচালক অরিন্দম শীল চাঁদা কাণ্ডকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করেন। ডুয়ার্সে সিনেমার শ্যুটিং-এর পরিবেশ আদৌ রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ ডুয়ার্সবাসীও।

Advertisement

সেই ঘটনার প্রায় দেড়মাস পর ফের ডুয়ার্সে ভেঙ্কটেশ সংস্থাই আবারও একটি নতুন সিনেমার শ্যুটিং এর জন্যে চলে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। পরিচালক রাজীব যেমন গত ২০১২ তেই মালবাজারে দেব শুভশ্রীদের নিয়ে খোকা ৪২০ সিনেমার অনেকখানি অংশের শ্যুটিং-এর কাজ করেছিলেন।

সে সময়ের স্মৃতি এখনও টাটকা রয়ে গেছে বলেই এদিন সুভাষ মোড়ে বসে জানালেন রাজীব। রাজীব বললেন, ‘‘এখানে কাজ করতে কখনওই আমার কোনও সমস্যা হয় না। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তাই বারবার ডুয়ার্সে আসতে হলেও কোনই সমস্যা নেই।’’ লোকেশন আয়োজনের কো অর্ডিনেটর সংস্থা সিনে ফিল্মসের কর্মকর্তা বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায় লাটাগুড়ির চাঁদা কাণ্ডের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবেই দেখতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বলিউডের বরফির মতো সিনেমার কাজও তরাই এলাকাতে করিয়েছি। ডুয়ার্সে এমন অনেক লোকেশন রয়েছে যা ভারতের অনেক এলাকার থেকে সাশ্রয়ে ব্যবহার করা যায়। তাই লাটাগুড়ির ঘটনা আমরা সকলে জানলেও সেটার প্রভাব এই শিল্পে পড়বে না।’’

এ দিন খুনের দৃশ্যে নকল বৃষ্টি করাতে হাজির ছিল মালবাজার দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। সাহায্য করেছে মালবাজারের পুলিশ প্রশাসনও। উৎসাহ নিয়ে ভিড় জমানো মানুষেরাও খুশি। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ সাহা, কাজল পালরা রবিবারের বাজার করেই শ্যুটিং দেখতে চলে আসেন। নিজের এলাকা সিনেমার পর্দায় উঠে আসাটা একটা গর্বের বিষয় বলেও জানিয়ে গেলেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন