মালপত্র তল্লাশি চালানোর জন্য আধুনিক স্ক্যানার যন্ত্র রয়েছে। যদিও মাস দেড়েক ধরে সেই যন্ত্র অকেজো। অথচ শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম ‘গেটওয়ে’ বলেও সুখ্যাত।
সেই স্টেশনেই নজরদারির জন্য ৬টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। যার একটি অকেজো এবং বাকি তিনটিতে দূরের ছবি ধরা পড়ে না। বৈধ নথি ছাড়াই প্ল্যাটফর্মে গজিয়ে উঠেছে দোকান। শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে একের পর এক অব্যবস্থা দেখলেন আরপিএফের সিনিয়র নিরাপত্তা কমিশনার মহম্মদ শাকিব। স্টেশন ছাড়ার আগে তিনি বললেন, ‘‘এটা ঠিকই যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ নয়। দ্রুত পদক্ষেপ হবে।’’
এই স্টেশন দিয়ে অনেক ট্রেন যাতায়াত করে। নিরাপত্তার নিরিখে এই স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি আরপিএফের। সে কারণেই একাধিক ‘মেটাল ডোর’ বসানো হয়েছে স্টেশনে রয়েছে ‘লাগেজ স্ক্যানার’ও। মাস দেড়েক আগে স্ক্যানার বিগড়ে গেলেও তা মেরামতের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মে থাকা চা-ফল সহ নানা দোকানের অনুমতির কাগজ দেখতে চান।
এ দিন উর্দিধারীদের এগোতে দেখে অনেক ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। বাকি ব্যবসায়ীদের কেউই লাইসেন্সের যথাযথ নথি দেখাতে পারেননি। আরপিএফের নজরদারি এড়িয়ে দিনের পর দিন কী ভাবে প্ল্যাটফর্মে অবৈধ দোকান চলছে, সে প্রশ্ন তোলেন খোদ নিরাপত্তা কমিশনারই।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমে গিয়েছিলেন কমিশনার শাকিব। প্ল্যাটফর্মের কোণার ছবি দেখতে চাইলে তাঁকে জানানো হয় তিনটি ক্যামেরায় দূরের কোনও ছবি ধরা সম্ভব হয় না। তা হলে কী ভাবে এত দিন নজরদারি চলছে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। শাকিব বলেন, ‘‘আমাদের যা কিছু করার ছিল, তার অনেক কিছুই হয়নি। সেগুলি সবই নোট করা হয়েছে।’’
সম্প্রতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা বাড়াতে আরপিএফকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফের তরফে পরিদর্শন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও পরিদর্শন করেছেন শাকিব। এ দিন পরিদর্শনের পরে আরপিএফের স্থানীয় অফিসারদের ডেকে আরেকপ্রস্ত বৈঠক করেছেন তিনি। নানা অব্যবস্থা নিয়ে তিনি সেই বৈঠকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।