অভিযানে মেয়র। —নিজস্ব চিত্র।
প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে পারিষদ ও আধিকারিকদের একাংশকে নিয়ে প্রচারে নেমে শহরে বাজারে এখনও তার ব্যবহার দেখলেন মেয়র নিজেই। সোমবার শিলিগুড়ির ক্ষুদিরামপল্লি ফল এবং সব্জি বাজার, বিধানমার্কেটের সব্জি, মাছ, মাংসের বাজারে অভিযানে সামিল হন মেয়র। অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে মামলা করার কথাও জানানো হয়েছে।
মেয়র স্বীকার করেন, ‘‘কিছু লোক লুকিয়ে, আবার কেউ প্রকাশ্যে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছে। গত এক মাসে অভিযান চালিয়ে অনেকটা কমানো গিয়েছে। আরও কমানো উচিত।’’ তার পরেও তিনি বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই তাদের সচেতন করতে। যাতে তারা নিজেরাই এটা বর্জন করেন। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি উদ্যোগী হয়ে এটা করুক।’’
যেখানে কড়া হাতে ব্যবস্থা না নিলে শহর প্লাস্টিক মুক্ত রাখা যাবে না বলে দাবি উঠেছে সেখানে ‘ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়’ মেয়রের এ ধরনের মন্তব্য অসাধু ব্যবসায়ীদের মদত যোগাবে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুরসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘কাউকে গ্রেফতার করানো উদ্দেশ্য নয় বটে, কিন্তু তাই বলে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হবে? আসলে মেয়র এ ধরনের কথা বলছেন কারণ তিনি প্লাস্টিক লবির কাছে দায়বদ্ধ।’’ সুজয়বাবুর অভিযোগ শহরের বাইরে গোঁসাইপুরের এক ব্যবসায়ী পুর এলাকায় গুদাম করে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মজুত করার সাহস পাচ্ছেন। অথচ তার পরেও ওই ব্যবসায়ীর নাম করে পুলিশে অভিযোগ হয়নি।
শনিবারই অভিযানে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির গুদাম থেকে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। মেয়র বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে ওই দিন অভিযান হয়েছে। সেই মতো পুলিশের তরফেই মামলা শুরু করা উচিত। তবে শনিবার অর্ধদিবস এবং রবিবার পুরসভা ছুটি থাকায় পুলিশে অভিযোগ জানানো যায়নি। সোমবার তা করা হবে। তা ছাড়া পুরসভার তরফে আলাদা করে মামলাও করা হবে বলে পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত জানিয়েছেন।
এ দিন অভিযানের সময় ফল ও মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এক ওষুধ ব্যবসায়ীর দোকান থেকেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।