মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যা লাগোয়া অঞ্চলের বাসিন্দা, ভাড়াটেদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শুরু করল শিলিগুড়ি পুলিশ। রবিবার সকালে এনজেপি থানার পুলিশ উত্তরকন্যার সামনে ৩১-ডি জাতীয় সড়কের পাশের কামরাঙাগুড়ি এলাকায় ওই অভিযান শুরু করে। মাইক নিয়ে পুলিশ অফিসারেরা সভাও করেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাড়াটিয়া সম্পর্কে তথ্য দ্রুত পুলিশে জানানোর কথা বলা হয়। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তেই ভাড়াটিয়া প্রসঙ্গ ছাড়াও এলাকার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পুলিশের কাছে আসা শুরু করে। দেশি মদের ঠেক থেকে জুয়ার আসর, রেল সেতুর নীচের যুবকের ঠেক সরানোর দাবিও তোলেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, এলাকায় উত্তরকন্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থাকেন। প্রায় দিনই ভিআইপি, প্রশাসনিক অফিসারদের আনাগোনা লেগেই থাকে। পুলিশের নজরদারি থাকলেও কিছু এলাকায় লুকিয়ে চুরিয়ে মদ, জুয়ার ঠেক চলে। সেই সঙ্গে বাইরের অপরিচিক লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়েও থাকেন। রিকশা বা ট্রাক চালক থেকে দোকান কর্মী-বিভিন্ন ধরনের লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এ দিন পুলিশ অফিসারেরা বাসিন্দাদের ফর্মও বিলি করেছেন।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, বাইরে থেকে কিছু লোকজন এসে নানা কাজের অছিলায় থেকে, অপরাধ করে পালাচ্ছে। তার উপর এলাকায় উত্তরকন্যা রয়েছে। সেখানকার এলাকার লোকজনের সম্পর্কেও তথ্য রাখা হচ্ছে।’’
সম্প্রতি কলকাতা থেকে উত্তরকন্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি তরফে খোঁজখবর করা হয়। রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের তরফেও সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় সড়কের গা লাগোয়া সচিবালয়ের পাশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ট্রাকের স্ট্যান্ড, বাজার রয়েছে। ভাড়াটিয়া সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের অভিযানে নামে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ লতিফ, মহম্মদ ইসাক, বলরাম মোহন্ত, বাবলু বর্মনেরা জানান বেশি টাকার জন্য অনেকেই অচেনা লোকজনকে বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি ঘরও বাইরের লোকজনকে বিক্রি করে দেন। পাড়ার লোক তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানতে পারে না। বাজার এলাকায় রাত নামতেই অপরিচিতদের ভিড় জমে। তেমনই, মদ জুয়ার ঠেকের বিষয়ও পুলিশ জানানো হয়েছে।
কমিশনারেটের কয়েকজন অফিসার জানান, সম্প্রতি বর্ধমান রোডের একটি বাইকের শোরুমের ডাকাতির তদন্তে নেমে পুলিশ একটি ভাড়া বাড়ির পরিচয় পায়। দুষ্কৃতীরা রিকশা চালকের অছিলায় সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল।