English Bazar

ঝড়ে ঘর ভেঙে মৃত্যু মহিলার

সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের ইংরেজবাজার থানার খাসকোল এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪১
Share:

প্রাণহানি: বাড়ি ভেঙে মৃত কাসমিরা বিবির দেহ ঘিরে স্বজনেরা। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া। আর তাতেই কাঁচা বাড়ি ভেঙে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হল এক মহিলার। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের ইংরেজবাজার থানার খাসকোল এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কাসমিরা বিবি (৩৮)। তাঁর স্বামী আনসারুল শেখ ভিন্‌ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি এখনও ভিন্‌ রাজ্যেই রয়েছেন। চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন কাসমিরা বিবি। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

এ দিনের ঝড়বৃষ্টিতে জেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে অসময়ের ঝড়বৃষ্টিতে আম ও আলুচাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। চাষিদের দাবি, বৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চাষের জমিতে জল জমে আলুতেও ধসা রোগের প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোককুমার মোদক বলেন, ‘‘এ দিন ভোরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। সামান্য হাওয়াও ছিল। জেলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে তা দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশ, চাটাইয়ের উপরে টিনের ছাউনির ঘরে থাকতেন কাসমিরা। তাঁর পাশেই মাটির বাড়ি রয়েছে। এ দিন মাটির বাড়িতে তাঁর ছেলেমেয়েরা ঘুমিয়েছিল। আর কাসমিরা ঘুমিয়েছিলেন অন্য ঘরে। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে ঝড়ও হয়। তখনই ভেঙে যায় কাসমিরার ঘর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী নূর আলম বলেন, ‘‘ঘরটি একটু ভাঙাচোরা ছিল। ভোরে সামান্য ঝড় হওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় কাসমিরার। আমরা ওই পরিবারের পাশে রয়েছি।’’

কৃষি দফতরের আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন জেলায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় বৈষ্ণবনগরে— ২৮ মিলিমিটার। কালিয়াচক, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহেও বৃষ্টি হয়েছে।

আচমকা এমন বৃষ্টিতে আমচাষে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। আমচাষি সুব্রত কুণ্ডু বলেন, ‘‘জেলায় এখনও সমস্ত গাছে আমের মুকুল আসেনি। এরই মধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে যাওয়া বা কালো হয়ে পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’ চাষের জমিতে জল জমলে আলুতে ধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে দাবি চাষিদের। কৃষিজমিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন