চোরাই কাঠ উদ্ধার

আন্তঃরাজ্য কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য চলছেই। কোচবিহারকে করিডর করে ফের পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার কোচবিহার-তুফানগঞ্জ রুটে মারুগঞ্জের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারি চালানোর সময় বেআইনি কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে বন দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:১৯
Share:

চোরাই: জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হল কাঠ। নিজস্ব চিত্র

আন্তঃরাজ্য কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য চলছেই। কোচবিহারকে করিডর করে ফের পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

শনিবার কোচবিহার-তুফানগঞ্জ রুটে মারুগঞ্জের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারি চালানোর সময় বেআইনি কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে বন দফতর। দফতর সূত্রের খবর, ট্রাকটির নম্বরপ্লেট নাগাল্যান্ডের। কিন্তু ট্রাক থেকে পাওয়া নথিতে লেখা ছিল, অরুণাচল প্রদেশ থেকে পুরানো আসবাবপত্র বিহারে নিয়ে যাওয়ার তথ্য মিলেছে। তাতেই আন্তঃরাজ্য কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘দফতরের কর্মী, আধিকারিকরা কাঠ পাচার বন্ধের ব্যাপারে সাধ্য মতো চেষ্টা করছেন। তাঁদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এই প্রবণতা বন্ধ করতে বাসিন্দাদের সহযোগিতাও দরকার।”

বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে কাঠ পাচারের খবর মেলে। তার ভিত্তিতেই নজরদারি বাড়ানো হয়। গভীর রাতে ট্রাকটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গাড়ি নিয়ে বনকর্মীরা পিছু নেন। শেষ পর্যন্ত মারুগঞ্জের কাছে ট্রাকটি রেখে চালক গা ঢাকা দেন। তল্লাশি চালিয়ে বনকর্মীরা দেখেন, ওই ট্রাকেই চটের বস্তায় মুড়ে সারি সারি চিক, শাল কাঠের পাটাতন সাজানো রয়েছে। নজর ঘোরাতে কিছু আসবাবপত্রও ওই বস্তাবন্দি কাঠের সারির উপরে রাখা হয়েছিল। কোচবিহারের ডিএফও বিমানকুমার বিশ্বাস বলেন, “কাগজপত্র সহ সব কিছু তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

বন দফতর সূত্রের খবর, উদ্ধার করা কাঠের দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে গত দশ মাসে কোচবিহারে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার কাঠ উদ্ধার হল। অভিযানের জেরে আটক করা হয়েছে ১০টি গাড়িও। কিন্তু কোচবিহারকে করিডর করে কাঠ পাচার চক্রের এমন দৌরাত্ম্য কেন? পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের বক্তব্য, ভৌগোলিক কারণ কোচবিহারকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অন্যতম কারণ। কোচবিহার থেকে অসম, ডুয়ার্স ও বাংলাদেশের দূরত্ব কম। সেই সুযোগ নিতে চাইছে পাচারকারীরা। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, “কম পরিশ্রমে বেশি মুনাফার আশাও কাঠ পাচার চক্রের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ।” অভিযোগ, ভরা বর্ষায় অসম, ডুয়ার্স থেকে নদীতে কাঠ পাচার হয়। আগে বালাভূত সীমান্তেও প্রচুর চন্দনকাঠ আটক হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন